মাকে নিবেদিত ছড়া ও কবিতা

মমতার ভান্ডার
বিলকিস নাহার মিতু
সবচেয়ে দামি মায়ের
হাসিভরা মুখ,
তার যত্নে মিশে আছে
ধরার যত সুখ।
আদর করে ডাকেন মা
হিরা-মানিক-রতন,
মমতায় বুকে টেনে
করেন খুব যতন।
ঘুম না এলে হাত বুলিয়ে
দেবেন সারারাত,
মাকে নিয়ে বিশ্বটাকে
করবো বাজিমাত।
ছড়াকার: শিক্ষার্থী, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা।
****
মা
মো. সাগর মিয়া
গভীর স্নেহ প্রেম মমতায়
আগলে তুমি রাখো!
ঝগড়া শাসন ভালোবাসায়
উদ্দীপনার সাঁকো।
অন্তরজুড়ে থাকবে তুমি
মোর আয়ুষ্কাল অব্দ!
শীতল ভোরে দৈন্য দিনে
উচ্চারিত শব্দ।
চৈত্রের রোদে উঠোন ডোবা
খুঁজতে আমায় কত!
বেখেয়ালি ছিলাম আমি
জ্বালিয়েছি শত।
ঝাপসা চোখে স্নেহের রোদে
স্বস্তি দিলে যত!
খেয়াল রাখার তেমন সাধ্য
আছে তোমার মতো?
ছড়াকার: শিক্ষার্থী, চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
****
মা নামক বিস্ময়কর প্রাণী
আজহার মাহমুদ
শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘুমন্ত সন্তানের শীত নিবারণের
চেষ্টা করছেন, নিজেও কাঁপছেন শীতে।
মা নামক বিস্ময়কর প্রাণী তিনি, শত ঝড়-ঝাপটা এলেও
তাকে পারে না কেউ হারাতে।
মায়েরা এমনই, সারাজীবন ব্যস্ত থাকেন
নিজে না খেয়ে সন্তানদের খাওয়াতে।
পৃথিবীতে শত ডাক্তারের চিকিৎসা নিলেও
সন্তানের অসুখ মা ছাড়া পারে না কেউ সারাতে।
কবি: কলামিস্ট ও লেখক।
****
স্বর্গীয় জোড়া পা
মিজান মনির
জান্নাত পরে, আগে ভালোবাসি মাকে
আঁতুড় ঘরে এসেছি যেদিন; সেদিন তাকে-
বলতে পারিনি মুখ ফুটে অমৃত কথা;
দিয়েছি কত ব্যথা—
নাড়ির প্রেম, চুমোমাখা আদর বারবার ডাকে
শৈল্পিক প্রেরণা বয়ে যায় বাঁকে বাঁকে
অকৃত্রিম ছায়া স্বর্গীয় পা’য়
এমন শান্তি নেই কোথাও যেখানে সব শোক ধায়।
কবি: মুরাদপুর, চট্টগ্রাম।
এসইউ/জেআইএম