মাসুদ চয়নের কবিতা
শৈত্য কোলাজ এবং অন্যান্য
শৈত্য কোলাজ
এবারের হাড়–হিম করা শীতে তোমাকে কিছু বলার ছিল—
যদিও কথা বলা আজকাল লজ্জাজনক দ্রুতি—
আমাদের কথাগুলো পৃথিবীর কান অবধি পৌঁছায় না—
অদ্ভুত শক্তিশালী রেজিমেন্ট রুলস—অথৈ সৈন্য-সামন্ত—
শূন্য ও আকাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে কথাদের খুব একা করে রেখে গেছে—
এবারের হাড়–হিম করা শীতে তাই তোমাকে কিছু নাও বলতে পারি—
আর যদি শুনতে চাও, এমন বিষম অবরোধ হইও না,
শূন্য ও আকাশের প্রতি—
সে তো মরে গেছে—রংধনুময় অনন্ত স্মৃতি রেখে গেছে—
****
আহত ফসিল
আহত জীবনের ফসিলটা দাঁড়িয়ে আছে,
খুব নির্জন একান্তের অবসন্নতা।
প্ররোচনায় জীর্ণকাতর রোদ,
শিশির ঝরছে ফসিলের রক্তপ্রবাহে-
সেই গল্পই তুমি মিহি মননের উৎকণ্ঠা,
এভাবে সবটুকু গুলিবর্ষণ শুষে নিলে হয়তো—
শেষ বুলেট তোমার বুকেই গেঁথে যাবে।
আত্মগোপনে পিছিয়ে পড়বে বুলেটে—
রেজিমেন্ট রুল পিছপা হবে।
****
স্বস্তির ঋণে
স্বস্তির ঋণে শূন্য ও আকাশ
খুব ধীরে ইমপ্রিন্ট হয়ে যাচ্ছে—
এই শীতে,
মৌসুমি রৌদ্রের নরম আলোয় ফলপ্রসূ হবে—
দাঁড়িয়ে থাকার বেদনা পেরুবে—
স্মৃতি স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে—
রেজিমেন্ট রুল এখনো প্রবাহমান;
সংশয় পুষে কুয়াশার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাবি,
হায় রেজিমেন্ট রুল!
অথৈ সৈন্য-সামন্ত!
রক্তরঞ্জিত মৃত ফসিলে
শুধু হাড়গোড়ই অবশিষ্ট আছে—
গুলি ছুড়বে কি আরও?
স্মৃতির ইমপ্রিন্ট, স্থায়ী সত্তায় ডুবে যাচ্ছে—
এসইউ