সাইফ হাসনাতের তিনটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯

ঝড়

কালেভদ্রে যৎসামান্য তীব্রতা পেয়েই
তুমুল ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে যে হাওয়া,
সেই সব দক্ষিণা হাওয়া জানে-
তোমার টানে
আমার ছোটাছুটির তীব্রতা কতো বেশি।

হাওয়াদেরও নিশ্চয় টান থাকে কোনো সুদূরের,
না হলে এতোটা তীব্রতা কোত্থেকে আসে!

আমি ছুটে যাই ঠিকই
হাওয়াদের মতো-
তোমাকে দুমড়েমুচড়ে দেই প্রবল ঝঞ্ঝায়,
তোমার হাত-পা-মুখ থেতলে যায়,
তোমার কোঁকড়া চুল জড়িয়ে যায় আরও।

যেনো আমিও ঝড় হয়ে উঠি,
তাণ্ডব-হাওয়ার তীব্রতা নিয়ে পেরিয়ে যাই
তোমাকে এবং ফিরে ফিরে চাই। যদিও ঝড়েদের
ফিরে তাকানোর দায় নেই-
গোটা এক সভ্যতা গুঁড়িয়ে দেয়ার পরও।

অথচ ঝড় হওয়ার জন্য নয়; কবেকার এক
বর্ষার কাদাজলের পৃথিবীতে,
আমি নেমে এসেছিলাম কোনো এক অন্য কারণে।

আমি তবু

যখন তখন মেলছো ডানা
যাচ্ছো সরে দূরে দূরে
ইচ্ছে হলে ডাকছো কাছে
ঠেলছো আবার তেপান্তরে।

যাচ্ছো ভুলে যখন তখন
পাতবো বাড়ি তোমার ডানায়
দিচ্ছো আবার মন ও হৃদয়
পূর্ণ করে কানায় কানায়।

এমন তোমার ভালোবাসা-
তাল মেলানো কঠিন ভীষণ
এমন তোমার প্রেমের খেলা
তাল মেলানো কঠিন ভীষণ।

প্রেমের টানে মনের ভুলে
তবু আমি তাল হারিয়ে
কেমন করে থাকছি দেখো
তোমার আশায় ঠায় দাঁড়িয়ে।

যতোভাবে খুশি

আমাকে বাজিয়ে দেখো যতোভাবে খুশি,
যতোভাবে খুশি আমাকে নাড়িয়ে দেখো;
কোনোকালে রাখাল ছিলাম কি-না, কোনোকালে
মাছ ধরা নৌকার পেছন পেছন দৌড়ে
হারিয়ে গিয়েছিলাম কি-না কোনো এক নদীঘেঁষা গ্রামে।

আমার মাথার খুলি খুলে ফেলো
মস্তিষ্ক ছড়িয়ে দাও রোদে
তারপর সেখান থেকে খুঁজে বের করো
আমার স্মৃতিতে পুরোনো প্রেমিকারা আসলে কেমন।

আমাকে কাটো, কেটে ভাগ ভাগ করো
তারপর আমার শিরা-উপশিরায় বহমান রক্তস্রোতকে
আটকে ফেলো এক কাচের কৌটায়,
যাতে কোনোদিন তা থেকে বের করে আনা যায়
আমার শৈশবের একেকটা অভাবনীয়
সুন্দর দিন।

এইভাবে আমাকে সবিস্তারে দেখে
তোমাদের অনুভূতি যা-ই হোক;
লোকজনদের জানাও যে-এই ছেলের মধ্যে
ভালো কিছু নেই। তাতেই দেখো তোমাদের আত্মারা
কী রকম উল্লসিত হয়ে উঠবে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।