সাংবাদিক আবদুস শহিদ আর নেই

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২০

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি ও এনটিভির যুগ্ম-প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুস শহিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক।

মৃত্যুকালে আবদুস শহিদের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গত ২৫ জুলাই আবদুস শহিদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ২৭ জুলাই তাকে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ জুলাই শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

১৯৫৭ সালে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামে আবদুস শহিদের জন্ম হয়। সৃজনশীল এই মানুষটি তার দীর্ঘ কর্মজীবনে এনটিভিসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের নেতৃত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের একাংশের সভাপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন আবদুস শহিদ। এ ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন তিনি। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরে গ্রামের বাড়িতে আবদুস শহিদ তার মা-বাবার নামে আফিয়া-বারী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এনটিভির সংবাদকে গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় করার পেছনে তার ছিল বিশেষ ভূমিকা।

সাংবাদিক আবদুস শহিদের মৃত্যুতে এনটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আলী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আবদুস শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।