দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি/ ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নজরে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুজন উপদেষ্টার এপিএস, পিও- যাদের কথা আপনারা বলছেন সে বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, সেটি আমরা করবো।

এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিও’র দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে আসে যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মী দুদকে আসেন। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এটি (দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও’র দুর্নীতি) আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। দুদক এই জাতীয় যে কোনো অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি শিগগির জানতে পারবেন।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন ৮ এপ্রিল। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এসএম/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।