ডিএনসিসি প্রশাসক

ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রায় ২০-৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ১১ মে ২০২৫
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

রোববার (১১ মে) ডিএনসিসির পৌরকর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাধারণ লোক কর দিতে চায়। কিন্তু মানুষের ভ্রান্ত ধারণা আছে, কর দেওয়ার প্রক্রিয়া জটিল। তাই তারা কর দিতে আসে না। এবার আমরা এই সমস্যার সমাধান করেছি। পৌরকর অনলাইনে প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ঘরে বসেই কর প্রদান করা যাবে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমরা ডিএনসিসির অঞ্চলগুলোতে গণশুনানি করে দেখেছি নাগরিকদের রাস্তা, ড্রেনেজ ও সড়কবাতির চাহিদা অনেক। সেই অনুপাতে রাজস্ব আদায় নেই। রাজস্ব আদায় না হওয়ায় কারণ হিসেবে তিনটি বিষয় চিহ্নিত করেছি, প্রথমত ডিএনসিসির নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকায় কর তালিকার অন্তর্ভুক্ত নেই। দ্বিতীয় আবাসিক এলাকাগুলোতেও বাণিজ্যিক ব্যবহার হচ্ছে, সেখান থেকে আমরা কোনো রাজস্ব পাচ্ছি না। নতুন করে হওয়া প্রচুর দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কর প্রদানের তালিকার আওতায় আনতে হবে।

প্রশাসক বলেন, যারা কর দেওয়া বা যারা কর দেয় না সবাইকেই সিটি করপোরেশনের নাগরিক সুবিধা দেওয়া হয়। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে, স্থায়ী লোকবল নিয়োগ করতে গেলে সেখানে তাদের বেতন-ভাতা দিতে রাজস্ব ব্যয় হচ্ছে, অবকাঠামো উন্নয়নে রাজস্বের বড় অংশ ব্যয় হয়। এই ব্যয় মাথায় রেখে আদায়ের লক্ষ্য পূরণ ও পৌরকর প্রদান সহজ করতে এই পৌরকর মেলার আয়োজন।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, প্রভাবশালী যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ট্যাক্স দেন না, যাদের কাছে অনেক বকেয়া তারা এবার আর কোনো ছাড় পাবেন না। তাই স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্যাক্স প্রদান করেন, না হলে সিটি করপোরেশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রায় ২০-৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া

করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কর প্রদান করে না জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া পড়ে আছে। তেমনি রেনেসাঁস হোটেল, ওয়েস্টিন হোটেল ও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও এমন পরিমাণ ট্যাক্স বকেয়া আছে। তারা সিটি করপোরেশন থেকে সর্বোচ্চ সেবা গ্রহণ করে অথচ ট্যাক্স প্রদান করে না, এটা অনৈতিক।

তিনি বলেন, কর তালিকা থাকা এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ন্যূনতম লাখ টাকা কর বকেয়া আছে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কাছে। কর তালিকার বাইরে আছে এর প্রায় পাঁচগুণেরও বেশি। মেলা পরবর্তীসময়ে কর তালিকায় সব নাগরিককে আনার জন্য অ্যাসেসমেন্টের জন্য লোক পাঠানো হবে। তাই, নাগরিকদের কাছে অনুরোধ আপনারা নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে পৌরকর প্রদান করুন। মেলায় আমরা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ রিবেটের ব্যবস্থা রেখেছি। কোনো হয়রানি যেন না হয় সেজন্য অনলাইন পোর্টাল খোলা রাখা হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স যেমন ঘরে বসে পাচ্ছেন, তেমনি হোল্ডিং ট্যাক্সও ঘরে বসে দেওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।