‘সেফ হাইজে’ ডিবির অভিযান, শীর্ষ সন্ত্রাসী মনিরসহ গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গোপন আস্তানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা/ ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সেফ হোম বানিয়েছে আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। ঢাকায় কোনো অপরাধ সংগঠনের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেসব সেফ হাউজে গিয়ে আশ্রয় নেন তারা। তবে সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আদাবর-১০ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এসব সেফ হাউজে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ। অভিযানকালে শীর্ষ সন্ত্রাসী বেলচা মনিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খাঁন। এরআগে ভোরে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খুনের কাজে ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু।

ডিবির অভিযানে গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন রাকিব হাওলাদার ওরফে ছোট রাকিব, মো. গোলাম রব্বানি ওরফে সাহস, মনির হোসেন ওরফে গুজা মনির ও মো. আকাশ খাঁ।

উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খাঁন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রিপন ওরফে নিপুকে তার নিজ বাড়িতে সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন বেলচা মনির ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী আরজু বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

মোহাম্মদ রাকিব খাঁন আরও বলেন, মামলাটির ছায়া তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় খুনের ঘটনায় জড়িতদরে শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার ভোরে বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা রাকিব খাঁন বলেন, ঢাকার আশেপাশের জেলায় তাদের (সন্ত্রাসী) কিছু আস্তানা আছে। সেগুলো তারা সেফ হাউজ হিসেবে ব্যবহার করে। তারা আদাবরে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে সেই সেফ হোমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। গোপন আস্তানায় কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারা আবার এলাকায় ফিরে আধিপত্য বিস্তারের কাজ শুরু করতো।

সংবাদ সন্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডিএমপির মিডিয়া শাখার ডিসি তালেবুর রহমান ও ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোর্শেদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

কেআর/এমএমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।