এলডিসি উত্তরণ মসৃণ করতে ডব্লিউটিওর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০২ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডব্লিউটিও মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ফাঁকে ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. নগোজি ওকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

আসন্ন ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলো বাণিজ্য সুবিধা হ্রাস বা উন্নত বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার প্রত্যাহারের মতো ঝুঁকির মুখে যেনো না পড়ে সেজন্য মহাপরিচালকের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস। ডব্লিউটিও প্রধান এ ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশের ২০২৬ সালের শেষ দিকে এলডিসি থেকে উত্তরণের কথা রয়েছে।

বৈঠকে বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষা নীতি বৃদ্ধি, বিশ্বায়নের গতি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা এবং বহুল প্রত্যাশিত ডব্লিউটিও সংস্কার নিয়েও আলোচনা হয়।

ড. ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, নানা উদ্বেগের মধ্যেও বিশ্ব বাণিজ্য এখনও সহনশীল রয়েছে এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ বাণিজ্য ডব্লিউটিওর নিয়মের আওতায় চলছে।

তিনি ডব্লিউটিওর সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সমর্থন চান।


ডব্লিউটিও মহাপরিচালক বলেন, ‘ডব্লিউটিওকে সংস্কার করতে হবে। আমি আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। আমি আপনার নেতৃত্ব চাই’।

অধ্যাপক ইউনুসও ডব্লিউটিও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্য বাস্তবতায় নেতৃত্ব দিতে হলে সংস্থাটিকে নতুনভাবে নিজেদের সাজাতে হবে। এখনই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সময়।

অর্থবহ পরিবর্তনের পক্ষে বাংলাদেশের কণ্ঠ উঁচু করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকি এবং এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

এমইইউ/এনএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।