হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুমোদন
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের বরাত দিয়ে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। তবে নদী ও নদীপথে বাধা সৃষ্টি, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অপ্রতিবদ্ধ ব্যবহার এবং পর্যটনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এটি ধ্বংসের পথে রয়েছে। এছাড়া জলাশয় সংরক্ষণের জন্য আইনি কাঠামোও যথেষ্ট নয়।
তিনি জানান, এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও জানান, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ সরবরাহ, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য দণ্ডারোপের বিধান রাখা হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম ছাড়া অধিদপ্তরের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ, দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।
এমইউ/এমএএইচ/