মামলার পরিবর্তে ‘লিখিত অভিযোগ’ নিলে ব্যবস্থা: আইজিপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুলিশ সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বাহারুল আলম/ছবি: জাগো নিউজ

থানায় কোনো ভুক্তভোগী মামলা করতে গেলে তার মামলাটি রুজু না করে লিখিত অভিযোগ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মামলা না নিয়ে অভিযোগ নিলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

থানায় কোনো ভুক্তভোগী মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয় না। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, এটি অন্যায়। এমন হয়ে থাকলে আমরা জানলে অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমন ঘটনায় বেশ কয়েকটি থানার ওসিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার বদলে অভিযোগ নিয়ে এসআইকে তদন্তে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।

ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষকে টার্গেট করে এখনো মামলা বাণিজ্য করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, মামলা আইনত পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ নেই। আইন পুলিশের সেই অধিকার দেয়নি। তবে বর্তমান সরকার মামলা রুজুর আগে যাচাই-বাছাই করা যায় কি না সে বিষয়ে দেখছেন, সেটি এখনো হয়নি।

আরও পড়ুন:
ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি

নির্দিষ্ট করে পুলিশের লোক মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকতে পারে, এটা আমি অস্বীকার করি না উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, ভালো-মন্দ মিলেই আমরা সবাই, কেউ ফেরেশতা না। মামলা বাণিজ্যে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ লোকের মামলাতেই মানুষ অতিষ্ঠ, পুলিশ যদি সেই দলে ঢুকে যায় তাহলে মানুষ যাবে কই?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৫টি মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, এরমধ্যে হত্যা মামলা ১৮টিম অন্যান্য মামলা ৩৭টি। হত্যা মামলায় ১৯৪১ জনের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য ধারায় ৩৭টি মামলায় ২১৮৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে নাম এসেছে। দুই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মোট মামলার সংখ্যা ১৭৬০। অধিকাংশ মামলা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মো. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও অতিরিক্ত আইজিপি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন।

টিটি/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।