অনেক মৃত্যু, রহস্য ও নতুন জীবন, আসছে কি ‘অ্যাভাটার ৪’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ছবির দৃশ্য

দীর্ঘ অপেক্ষার পর দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছে জেমস ক্যামেরনের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম ‘অ্যাভাটার ৩’ সিনেমা। এবারের কিস্তির নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’-এর ঘটনার পরপরই শুরু হওয়া এই কিস্তিতে আরও ভয়ংকর সংঘাত, নতুন শত্রু ও আবেগঘন বিদায়ের সাক্ষী হয়েছে প্যান্ডোরার জগৎ।

এই পর্বে সুলি পরিবারের সামনে দাঁড়ায় সবচেয়ে ভয়ংকর হুমকি আগুন উপজাতি ‘ম্যাংকওয়ান’। নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরিকে ঘিরে বসবাস করা এই নিষ্ঠুর গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে রহস্যময় ও ভয়ংকর নারী ভারাং।

অন্যদিকে পুরোনো শত্রু কোয়ারিচ আবারও ফিরে আসে প্রতিশোধের আগুন নিয়ে। মানুষদের বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ম্যাংকওয়ানরা অস্ত্রধারী হয়ে ওঠে। বন্দি হন জেক সুলি। তবে শেষ পর্যন্ত নাভি গোত্রগুলো একত্রিত হয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধে নামে। ঠিক সেই সময়েই জেকের দত্তক কন্যা কিরি ঈওয়ার সঙ্গে আত্মিক সংযোগ স্থাপন করে প্যান্ডোরার প্রাণিদের জাগিয়ে তোলে। তাতেই যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়।

আরও পড়ুন
বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশেও এলো নতুন ‘অ্যাভাটার’
হোয়াইট হাউসের ক্রিসমাস ডিনারে মল্লিকা শেরওয়াত

মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও চূড়ান্ত যুদ্ধে আগুনের গহ্বরে ঝাঁপ দেয় কোয়ারিচ। তার মৃত্যুর দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখানো হয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নতুন আরও একটি কিস্তি আসবে। নিখোঁজ পরাজয়ের মুখে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যায় আগুন উপজাতির নেত্রী ভারাং। তার মৃত্যুও নিশ্চিত নয়। মেটকাইনা গোত্রের মাতৃপ্রতিম নেত্রী রোনাল শেষ যুদ্ধে প্রাণ হারান। মৃত্যুর আগে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসেবে বড় করার অঙ্গীকার করেন নেইতিরি।

এছাড়া মেটকাইনা গোত্রের তরুণ যোদ্ধা ও সুলি সন্তানদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রটক্সোও যুদ্ধে প্রাণ হারায়। সমুদ্রের ভয়ংকর শিকারি স্কোরসবী শেষ পর্যন্ত প্রতিশোধের শিকার হয়। এক বিশাল জলজ প্রাণীর গিলে খাওয়ার মধ্য দিয়ে তার মৃত্যু ঘটে।

এতসব মৃত্যু, মৃত্যুর সম্ভানা ও নতুন জীবনের শুরু ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন গল্পে আবারও ফিরে আসবে ‘অ্যাভাটার’। পরিচালক জেমস ক্যামেরন আগেই জানিয়েছেন, তিনি চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির পরিকল্পনা করে রেখেছেন। চতুর্থ কিস্তির কিছু অংশ ইতোমধ্যেই ধারণ করা হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর বাণিজ্যিক সাফল্যের ওপর।

আগের দুই কিস্তিই বিশ্বব্যাপী বিপুল আয় করেছিল। তাই প্রত্যাশা, এই পর্ব সফল হলে ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে প্যান্ডোরার জগৎ। ইতোমধ্যে নতুন এক আকাশপথের নাভি গোষ্ঠীর ইঙ্গিতও মিলেছে যারা পরবর্তী কিস্তিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

এলআইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।