হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক আসামিদের মাল ক্রোকের নির্দেশ
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামীর মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশীদ আহমেদ মিলন। শনিবার দুপুরে কিবরিয়া হত্যা মামলার নির্ধারিত তারিখে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তিনি আদেশ দেন।
হবিগঞ্জ আমলী আদালত-১ এর বিচারক রোকেয়া আক্তার অনুপস্থিত থাকায় মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশীদ আহমেদ মিলনের আদালতে শুনানি হয়। আসামিপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই, আরিফ চৌধুরী, সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল ও নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো দ্রুত বিচারের স্বার্থে পলাতক আসামিদের মাল ক্রোকের আবেদন করেন। পাশাপাশি স্বল্প সময়ের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির আবেদন জানান। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে ক্রোক আদেশ দেন এবং ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এই মামলায় ১ম চার্জশীটভূক্ত ৮ আসামি নিয়মিত হাজিরা দেন। তন্মধ্যে হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত জয়নাল আবেদীন জালাল ২১ ডিসেম্বর মামলার তারিখে হাজিরা না থাকায় নতুন করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
হাজির হওয়া আসামিরা হলেন- জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, বিএনপি কর্মী আয়াত আলী, সেলিম আহমেদ, সাহেদ আলী, জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদল কর্মী মহিবুর রহমান।
আদালতে আত্মসমর্পণকারী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র জি কে গউছের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেননি। তারা উচ্চ আদালতে জামিন চাইবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ছিদ্দিক আলী, আবদুর রহিম ও আবুল হোসেন। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ ফারুক, আবদুল্লাহ সর্দারসহ আহত হন ৭০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদি হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
আরএস