গুলশান কার্যালয়ের সামনে রহস্যমানব!
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে এক ‘রহস্যমানবের’ দেখা মিলেছে। তার আচরণ এবং কথাবার্তা সবকিছুই রহস্যময়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় হঠাৎ করে গুলশান কার্যালয়ের সামনে মধ্যবয়সী এই রহস্যমানবের আবির্ভাব ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি গুলশান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় উদ্ভট সব আচরণ করতে থাকে। তার গায়ে একটি ফুলহাতা শার্ট ছিল। মাথায় ছিল টুপি। হাতে ছিল পার্স জাতীয় একটি ব্যাগ। তার এরকম উদ্ভট আচরণ দেখে পুলিশ তার কাছে গেলে হঠাৎ সে অগ্নিমূর্তি রূপ ধারণ করে।
এসময় তার পার্স ব্যাগ থেকে একটি রিভলবার বের করে পুলিশের দিকে তাক করেন তিনি। এতে পুলিশের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে সে রিভলবারের লাইসেন্সের কাগজপত্র দেখায়। পরে সে তার পার্স থেকে বিভিন্ন মন্ত্রীর ভিজিটিং কার্ড বের করে পুলিশকে দেখান এবং তাদের নাম ধরে ডাকতে থাকেন।
এসময় তিনি চিৎকার করে বলেন , ‘খালেদা জিয়া কোথায়? হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে নাই কেন? তাকে গুলি করে মারব!’
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলতে থাকেন ‘মন্ত্রীদের ডাকুন, তাদের এখানে আসতে বলুন।’ পরে পুলিশ অনেক কৌশলে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয় এবং সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রহস্যময় এই ব্যাক্তির নাম মুফিদুল ইসলাম। তিনি নিজেকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের’ একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
মুফিদুল ইসলামের এমন আকস্মিক আচরণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়। পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, মুফিদুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রটি লাইসেন্স করা।
এমএম/এআরএস/আরআই