এবার মহাখালী থেকে মার্সিডিজ জব্দ

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা থেকে বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার রোড নং- ১৯ সি এর বাসা নং- ২৮৮ এর সামনে থেকে পার্ক করা অবস্থায় গাড়িটি জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ওই বাড়ির মালিক এস কে আবু বাকের। তার ছেলে এরিক মোরশেদ গাড়ির মালিক।
গাড়ির রেজিস্ট্রেন নম্বর ঢাকা মেট্টো ঘ ১৪-৪৭২৭। বিআরটিএ-র সাথে যোগাযোগে জানা যায় নম্বরটি ভুয়া।
মইনুল খান জানান, এ বিষয়ে এরিক মোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকার করেছেন এটি তার গাড়ি। গাড়িটির মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
আমদানির সময় শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা- সেই বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে গাড়ির মালিককে গ্রেফতারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
১০ এপ্রিল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি জব্দ করে শুল্ক-গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। গাড়ির ভেতরে চাবিসহ একটি চিঠিও পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, গাড়িটি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ড প্রবাসী ফরিদা রশিদের।
কারনেট সুবিধায় গাড়িটি আনা হয়েছিল। তবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। গ্যারেজ নম্বরে গাড়িটি চলছিল।
এরও আগে, ২১ মার্চ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের একটি কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর। ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গাড়িটি (ভোলা-ঘ-১১-০০-৩৫) রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। কাস্টম হাউসের নথি যাচাই করে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন গাড়িটির বিল অব এন্ট্রি ভুয়া। রেজিস্ট্রেশনে গাড়িটির রঙ সাদা উল্লেখ থাকলেও উদ্ধার করা গাড়িটির রঙ কালো।
কয়েক দিনের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন মুসা বিন শমসেরের গুলশান-২ নম্বর এলাকার বাড়িতে গাড়িটি রাখা আছে। কিন্তু গোয়েন্দাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি আগেই গাড়িটি ধানমন্ডির এক আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে রাখেন। পরে সেখান থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
জেইউ/এমএআর/পিআর