প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ঢাবি অধ্যাপক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি
প্রকাশিত: ০৪:৪২ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জাতিসংঘের ইন্ডিপেন্ডেন্ট সায়েন্টিফিক প্যানেল অন ইফেক্টস অব নিউক্লিয়ার ওয়ার (আইএসপিইএসডব্লিও)-এর ২১-সদস্য বিশিষ্ট প্যানেলে বিশেষজ্ঞ পরিবেশ রসায়নবিদ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পারমাণবিক যুদ্ধ এবং পারমাণবিক দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং এর প্রতিক্রিয়ার বাস্তব চিত্র অনুধাবনে জাতিসংঘের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই গবেষণা প্যানেল কাজ করবে। পারমাণবিক যুদ্ধ ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর সৃষ্ট সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব বিশ্লেষণ ও তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা উদ্ভাবনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে বাংলাদেশি পরিবেশ রসায়নবিদ হিসেবে কাজ করবেন অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব।

অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে তিনি জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয় ( Saga University ) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ জাপানের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া, তিনি চীন এবং জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা করছেন।

তিনি ২০২৪ সাল থেকে জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আন্তর্জাতিক চুক্তির জন্য গঠিত প্যানেলের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মৌলিক রসায়ন, পরিবেশ রসায়ন, জৈব দূষণ, জীবজগতের ওপর ভারী ধাতুসমূহের প্রভাব, ধূলিকণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি গবেষণা করেন। তার ৮১টি গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

এফএআর/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।