প্রবাসীরা প্রত্যেকে বাংলাদেশের দূত: সাংসদ ইস্রাফিল আলম

প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রত্যেকে বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য মো. ইস্রাফিল আলম। রোববার কুয়ালালামপুরস্থ মতিয়ারা কমপ্লেক্সে জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখা কর্তৃক আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংসদ ইস্রাফিল আলম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে এমন ভাল সরকার আর কখনো ছিল না। জনসাধারণের কল্যাণে এমনভাবে নিবেদিত সরকার খুব কমই দেখেছেন বাংলাদেশিরা। জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আমাদের সরকার সবসময় সোচ্চার রয়েছে। আমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, ১৫ বছর আগে যে বাংলাদেশ দেখেছেন, এখন আর সে বাংলাদেশ নেই। এখন অন্য মাত্রার একটি বাংলাদেশ দেখতে পাবেন।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জায়গা অনেক বড় হয়েছে। আগে যেখানে ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হতো, গত বছর সেখানে হয়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকার বাজেট। সামনের বাজেট হতে যাচ্ছে ৩ লাখ কোটি টাকার। এখান থেকেইতো বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের সামগ্রিক কাঠামোতেই বড় ধরনের একটি পরিবর্তন ঘটেছে। আর এই বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের ৮০% প্রাইভেট সেক্টরের।
সাংসদ আরোও বলেন, প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি সচল রাখতে অবদান রেখে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ ভালো। রিজার্ভ যখন বাড়ে তখন বহির্বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে। এসব কারণে আমরা প্রবাসীদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রবাসে তুলে ধরে বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে এক রোল মডেল এবং বাংলাদেশি পণ্য একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশিয় সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চা অব্যাহত রাখার আহবান জানান। মালয়েশিয়া শ্রমিক লীগের আহবায়ক সোহেল বিন রানার সভাপতিত্বে ও সাহাদাত হোসেন সাব্বিরের পরিচালনায় অনুষ্টিত মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলার (লেবার) মো: সায়েদুল ইসলাম মুকুল। লেবার কাউন্সিলার তার বক্তব্য বলেন, সায়েদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। যাদের পাঠানো রেমিটেন্সে আমাদের অর্থনীতি চাকা ঘোরে। তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশীরা ভালো কাজ করুক। ভালো যেকোনো কাজে আমরা আছি, থাকব। প্রবাসে আমাদের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। হাই কমিশনের সকল কর্মকর্তার দায়িত্ব আপনাদের সম্মান বৃদ্ধি করা। আর এই সম্মান বৃদ্ধি করতে হলে সব সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এম রেজাউল করিম রেজা, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান শওকত, আব্দুল বাতেন, নূর মোহাম্মদ ভূইয়া, মালয়েশিয়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনছুর আল বাশার সোহেল, কাজাং শাখা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মো. শাহ জাহান প্রমূখ। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
এমজেড/আরআই