বনানীতে বিপুল ভেজাল ওষুধ জব্দ
রাজধানীর বনানী থানাধীন বায়তুল নুর মসজিদ কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে বিপুল ভেজাল ওষুধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চলে। ড্রিম টুগেদার (প্রা.) লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনহীন বিক্রয় ও মজুদের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা ও পরিচালককে আটকপূর্বক জরিমানা করেন আদালত।
র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক জনাব মেজর সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার জনাব মো. মুহিদ ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সহকারি পরিচালক সিনিয়র এসএসপি মারুফ আহমেদ। ড্রিম টুগেদার (প্রা.) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাঈন উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানান, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত অত্র প্রতিষ্ঠানের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কোনো লাইসেন্স নেই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ব্যতিরেকেই কার্ডিও কেয়ার, ত্রিফলা চূর্ণ, গ্লুকো কন্ট্রোল, ডি পাওয়ার এক্স, লিকিউর উৎপাদন ও তা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে আসছিল।
এছাড়া ডি-ভিট প্লাস, ড্রিম ক্যালডি, ড্রিম ইনহেলার, নাইজেলা ক্যাপ, ড্রিম এলোভেরা ক্যাপ, স্পিরুলিনা, গ্যানোডার্মা মাইসোলিয়াম, জেনিটাল ক্রিম, গ্যানোডর্মো ননি ক্যাপ, ড্রিম হেয়ার ওয়েল, ড্রিম কুল ওয়েল, ড্রিম ন্যাচারাল এলোভেরা সোপ, এলোভেরা ন্যাচারাল শ্যাম্পু, ক্লাব হেয়ার শ্যাম্পু, এলো জেল ফেসিয়াল, অলিভ ওয়েল এসেস ওষধ ভোগ্যপণ্য বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ পূর্বক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মঈন উদ্দিন দোষ স্বীকার করেছেন। এ কারণে দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওষধ প্রশাসনের লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত উক্ত ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
র্যাবের এ নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে জব্দকৃত ডি-ভিট প্লাস সকল ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব পূরণ করা হয় বলা হয়েছে।
কিন্তু তা প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন নয়। ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি-৩ এর কম্বিনেশন ড্রিম ক্যাল-ডি এর আরেকটি নিম্নমানের ওষুধ। এ ধরনের কম্বিনেশন ওষুধ মজুদ রাখা খুবই কঠিন। বাংলাদেশে প্রথম সারির অল্প কিছু কোম্পানি এটা তৈরি করলেও ইনজেকটেবল ফরমে এখনো কেউ তৈরি করেনা।
জেইউ/বিএ/আরআইপি