প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়বে না : পরিকল্পনা মন্ত্রী


প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ১৭ মে ২০১৫

প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বছর শেষে প্রকল্পের অর্থ খরচের হিড়িক দেখা যায়। এতে প্রকল্পের গুণগত বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ পরিস্থিতি রোধে প্রতি প্রান্তিকে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা দেয়া হবে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, সাধারণত দেখা যায়- কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন যে সময়ে হতে পারতো, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন থেকে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে যতদিন সময় লাগবে, ঠিক ততদিনই দেয়া হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ মূল্যায়নে যে সব প্রকল্প পরিচালক ভালো করবেন, তাদেরকে পরবর্তীতে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব দেয়া হবে।

প্রকল্প সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, কোন প্রকল্প দুইবারের বেশি সংশোধন করা হবে না। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পটি আরো বেশিদিন জিয়িয়ে রাখতে প্রকল্প পরিচালক তার সঙ্গে আরো অনেক কিছু জুড়ে দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করেন। এ ধরনের প্রকল্পকে সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেয়া হবে না। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেয়া হবে। একনেকে যেভাবে অনুমোদন হবে, ঠিক সেভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

বড় প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সব প্রকল্প দেশব্যাপী বাস্তবায়ন হয়, যেমন- প্রাথমিক শিক্ষার অনেক প্রকল্প এমন আছে। এসব প্রকল্পে জাতীয়ভাবে একজন প্রকল্প পরিচালক থাকবেন। প্রকল্পের কাজে গতি আনতে প্রতি বিভাগে একজন করে প্রকল্প সমন্বায়ক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এ ধরনের বড় প্রকল্পের দরপত্র কোন একক প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে। যাতে প্রকল্পটি গুণগতভাবে সঠিক সময়ে শেষ হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন বর্ষাকালে নদী ভাঙ্গন রোধে কোন প্রকল্প নেয়া হবে না। কারণ বর্ষার সময় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগত মান নিশ্চিত করা যায় না। এ ধরনের প্রকল্প আগস্টে অনুমোদন দেয়া হবে এবং অক্টোবরে দরপত্র সম্পন্ন হবে। শুষ্ক মৌসুমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এসএ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।