ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য।
শুক্রবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। ফাহমিদুল হক বাংলাদেশ লেখক ঐক্যের সদস্য। এছাড়া সমাবেশে ৫৭ ধারা বাতিলেরও দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় সমাজসেবী জাকিয়া শিশির বলেন, যে সব শিক্ষক কয়েকদিন আগে ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, এখন তারাই এর ব্যবহার করছেন। তাদের ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
সিটিজেন ওপেন ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ ঢাবি শিক্ষকসহ যারা এই আইনের ধারার কারণে হয়রানিতে পড়েছেন তাদের পক্ষে দাঁড়ান। এই আইন বাতিল করুন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কথা সাহিত্যিক রাখাল রাহা, সহ-সভাপতি প্রাবন্ধিক আরশাদ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক কবি শওকত হোসেন, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক হাসিবউদ্দিন হোসেনসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ফাহমিদুল হক একজন নিবেদিত সংস্কৃতি কর্মী ও সর্বমহলে গ্রাহ্য একজন সৎ ও ভালো মানুষ। এমন একটি মানুষের বিরুদ্ধে যখন একটি বিতর্কিত ও ঘৃণ্য আইনে মামলা করা হয়, তখন বুঝতে হবে এই মামলার পেছনে রয়েছে কোন অসৎ উদ্দেশ্য। আমরা মনে করি ফাহমিদুল হকের যে প্রতিবাদী চরিত্র, তাকে রোধ করার জন্যই এটি করা হয়েছে। যে সহকর্মী এমন একটি ঘৃণ্য মামলা আরেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে করতে পারে, সেই মামলাবাজ ব্যক্তি নিজেই শিক্ষক পরিচয় দেয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার না হলে সংঠনের পক্ষ থেকে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান বক্তারা।
এর আগে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ সহকর্মী ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন।
মামলায় অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ দাবি করেন, ঢাবির মাস্টার্সের ফলাফল দীর্ঘসূত্রতার কারণ হিসেবে তার (আবুল মনসুর আহমেদ) নাম উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। ৬৯ জন মেম্বারের এই গ্রুপে ফাহমিদুল হকের এই পোস্টের বক্তব্যকে ‘শত্রুতামূলক উদ্যোগগ্রহণ’ ও ‘সম্মানহানিকর’ উল্লেখ করে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
এআর/ওআর/পিআর