রোহিঙ্গা নির্যাতন : সিলেট-টেকনাফ রোডমার্চে অংশগ্রহণে আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৮ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট-টেকনাফ অভিমুখে রোডমার্চ করবে হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা, বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোডমার্চে অংশ নিতে সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে রোডমার্চ সফলের লক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিয়ানমারে গণহত্যা ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে আরও অধিক জনমত তৈরির লক্ষ্যে ‘হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা, বাংলাদেশ’ সিলেট টু টেকনাফ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিশ্ব বিবেকের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা হবে।

২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় সিলেট থেকে রোডমার্চ রওয়ানা হয়ে হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মমবাড়ীয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের একাধিক স্থানে পথসভা করবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে টেকনাফে মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ ভিন্নধর্মী লোকদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। নারীদের ধর্ষণ ও শিশুদের টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হচ্ছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। জীবন্ত মানুষকে ব্রাসফায়ার করার পর পেট্রোল ঢেলে পোড়ানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো বিবেকবান মানুষ নিশ্চুপ থাকতে পারে না। মিয়ানমারে সরকারি নির্দেশনায় সেনাবাহিনী, নাসাকা, বিজিপির এ গণহত্যা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে, তিনি বিলম্বে হলেও শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের স্ব-ভূমি তথা রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সচেতন মহল আশঙ্কা করছেন, এ সমস্যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির কারণ তৈরি হতে পারে। কারণ ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১৭বার আমাদের আকাশ সীমা লংঘনের দুঃসাহস দেখালেও বাংলাদেশ থেকে দুর্বল মৌখিক প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনো নড়াচড়া আমরা দেখতে পাইনি। তবে আশার কথা হলো, দেশের সর্বস্তরের জনগণ দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর গণহত্যা বন্ধে চাপ সৃষ্টি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া এবং পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার উদাত্ত আহ্বান জানায় তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাওলানা গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, মুফতী রেজাউল করীম, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আলীনূর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা হাম্মাদ গাজিনগরী, মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী, মুফতী আবু সাঈদ, মাওলানা আলিমুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।