টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের দুই বিজয়ী সায়মা ও সামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৯ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একে একে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে বাংলাদেশ জয় করে নরওয়ের পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষার্থী সায়মা মেহেদী খান এবং সামিন আলম। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৮- এর গ্র্যান্ড ফিনালে ৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে সায়মা ও সামিন বিজয়ী হয়েছেন।

টিওয়াইএফ ২০১৮- এর বিজয়ীরা আগামী ডিসেম্বরে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে এমন সাতটি দেশের প্রতিনিধিদের সাথে যোগ দিতে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে যাবেন। গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে এমন আটটি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী তরুণদের সবার সামনে নিজেদের জীবন পরিবর্তনকারী ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ করে দিতে নোবেল পিস সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতি বছর টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম আয়োজন করে টেলিনর গ্রুপ। এবারের টিওয়াইএফ’র প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ব্রাইট মাইন্ডস রিডিউসিং ইনকুয়ালিটিস’। বাংলাদেশে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ষষ্ঠ পর্বের নির্বাচনী পর্যায়ের আয়োজন করে গ্রামীণফোন।

১৪শ’ আবেদনের মধ্য থেকে বাছাই প্রক্রিয়ায় ৬০ জন আবেদনকারীকে ধারণা উপস্থাপনের জন্য মনোনীত করা হয়। মনোনীত ৬০ জন গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর জিপি হাউজে নিজেদের ধারণা উপস্থাপন করেন। সেখান থেকেই সাতজনকে টিওয়াইএফ গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য নির্বাচন করা হয়। টিওয়াইএফ বাংলাদেশের ফাইনালিস্টরা হলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তাসনীম ওমর আভা, সামীন আলম ও সৈয়দ সামীন শাহরিয়ার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র তারেক মুসানা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিউপি) মো. নাজিব ইনতেসার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সাবিহা সাজু ইবনে আবেদিন এবং আর্মি আইবিএ’র ইফতেখার মাহমুদ।

এ সাতজনের বাইরেও প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে নিজের ধারণা উপস্থাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র শিক্ষার্থী সায়মা মেহেদী খান ‘ওয়াইল্ড এন্ট্রি’ হিসেবে মনোনীত হন। নির্বাচিত ফাইনালিস্টের বাইরে ৮ম থেকে ২০ তম জনের তালিকা থেকে ওয়াইল্ড এন্ট্রি হিসেবে একজন মনোনীত হন।

টিওয়াইএফ-এ প্রতিবছর দু’জন তরুণ বিজয়ী হিসেবে মনোনীত হন এবং টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ বছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হলো কৃষি নেট এবং প্রজেক্ট সুরক্ষা।

একটি কঠোর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয় এবং তারা পরবর্তীতে গ্রামীণফোনের বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আগত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জুরিবোর্ডের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপন করেন। আট জনের মধ্যে থেকে সেরা ধারণা উপস্থাপনকারী দুইজনকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করে বিচারক প্যানেল। বিজয়ীরা নোবেল শান্তি পুরষ্কার অনুষ্ঠান চলাকালীন নরওয়ের অসলোতে টিওয়াইএফ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

টিওয়াইএফ গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক, দেশের নানা স্টার্টআপের সফল উদ্যেক্তারা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরএম/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।