করোনায় মৃত্যুতে ঢাকা বিভাগকেও ছুঁয়ে ফেলল চট্টগ্রাম!
অডিও শুনুন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় বেশ কিছুদিন আগেই রাজধানী ঢাকাকে ছুঁয়ে ফেলেছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। এবার মৃত্যুর পরিসংখ্যানে ঢাকা বিভাগকে ছুঁই ছুঁই করছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। আজ (২৫ জুন) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৬০৭ জনে। একই সময়ে মোট মৃত্যুবরণকারী রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২১ জনে।
বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ৪৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে ঢাকা বিভাগের পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ ভাইরাসে বিভাগটিতে মারা গেছেন ৪৫২ জন। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা; ৩৯৪ জন।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে- ময়মনসিংহে ৪৬ জন, রাজশাহীতে ৬৯, রংপুরে ৪৪, খুলনায় ৫০, বরিশালে ৫৩ এবং সিলেট বিভাগে ৫৯ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে প্রথম করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সারাদেশে মোট ৬৬টি ল্যাবরেটরিতে (ঢাকায় ৩৫টি ও ঢাকার বাইরে ৩১টি) করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে দৈনিক ১৭-১৮ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনসহ বর্তমানে আইসোলেশন রয়েছেন ১৩ হাজার ৪২৯ জন।
সূত্র আরও জানায়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মোট ১২ হাজার ৩৪টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৩০০, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৩৯৬, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ১৩৮, ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৮০, বরিশাল বিভাগে ৪১৩, সিলেট বিভাগে ৩৪৮, রাজশাহী বিভাগে ৯২৪, খুলনা বিভাগে ৭১৩ ও রংপুর বিভাগে ৭২২টি বেড রয়েছে।
এছাড়া ৩৯৯টি আইসিইউ বেড ও ১০৬টি ডায়ালাইসিস শয্যা রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৯৪৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।
এমইউ/এফআর/জেআইএম