জ্বর-শ্বাসকষ্টে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালকের মৃত্যু

অডিও শুনুন

বগুড়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ডা. আব্দুল লতিফ (৫৭) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) বিভাগের পরিচালক ছিলেন। শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বগুড়া শহরের মালতিনগরের বাসায় আসেন ডা. আব্দুল লতিফ। তিনি ৪ আগস্ট জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হন।

নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাকে। আবদুল লতিফের অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান। মরহুমের মেয়ে আঁচল উদিচি শিল্পী গোষ্ঠীর একজন শিল্পী। এছাড়া তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ জীবাণুমুক্ত করে দক্ষিণ বগুড়া গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

এদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ইউএনও মো. শফিকুর আলম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার পর ৩ আগস্ট তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সোনাতলায় সচেতনতামূলক ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাঠে- ময়দানে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থতা বোধ করলে তিনি ৪ আগস্ট বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে শিবগঞ্জ সরকারি বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

 

এমইউ/এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।