সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে করোনাপূর্ব স্বাভাবিক চিত্র!
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম অফিসের পরিবর্তে এখন থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে— এমন নির্দেশনার পর আজ রোববার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়ে। এমনকি ভেতরে-বাইরে যানজট দেখা গেছে করোনাকাল-পূর্ববর্তী স্বাভাবিক সময়ের মতো।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের সকাল থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে মন্ত্রী-সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। বিভিন্ন দফতরে বিগত কয়েক মাসের তুলনায় উপস্থিতি দেখা যায় অনেক বেশি। কয়েক দিন আগেও সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরের লম্বা করিডোর প্রায় জনশূন্য থাকলেও আজ সব করিডোরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। বিভিন্ন দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অধস্তন কর্মকর্তাদের মিটিংয়ের ফাইল নিয়েও দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে সতর্কতার সাথে মাস্ক পরিধান করে চলাচল করতে দেখা যায়।
অবশ্য সচিবালয়ের প্রবেশপথে বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দফতরে জ্বর পরিমাপক যন্ত্র অথবা হাতে মাখার জন্য স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে সচিবালয় বলতে গেলে জনশূন্য ছিল। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম অফিস করেছেন। মন্ত্রী ও সচিবদের অধিকাংশই স্বল্প সময়ের জন্য সচিবালয় এসে আবার চলে গেছেন। কিন্তু আজ চিত্র ভিন্ন। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী-সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের ফলে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ে কি-না, তা নিয়ে কেউ কেউ শঙ্কিত।
রোববার বিকেল ৩টায় সচিবালয়ের অভ্যন্তরে দেখা যায়, বাইরে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। রীতিমতো যানজট লেগেছে। সচিবালয়ে কয়েকজন কর্মচারীকে এ যানজট ঠেকাতে গাড়ি একদিকে থামিয়ে অন্যদিকে ক্লিয়ার করতে দেখা যায়।
সচিবালয়ের বাইরেও ছিল অসংখ্য অপেক্ষমাণ গাড়ি। ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই গাড়ি বাইরে রেখে কাজ করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদেরও উপস্থিতি দেখা যায় অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, এখন থেকে সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে। এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও দিনের পর দিন মাসের পর মাস এভাবে হোম অফিস করে প্রয়োজনীয় কাজে গতিশীলতা আসে না।
এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ