করোনায় মোট মৃতের ৪৯ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। রাজধানীসহ সারাদেশে ২১ আগস্ট পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট ৩ হাজার ৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৪৬ জন (৭৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং নারী ৮১৫ জন (২১ দশমিক ১১ শতাংশ)।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ (৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ) ষাটোর্ধ্ব বয়সী। আর সবচেয়ে কম ১০ বছরের কম বয়সী মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মোট মৃতের পরিসংখ্যানে বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ১৯ জন (শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৫ জন (শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯৪ জন (দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৪৩ জন (ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৫১৬ জন (১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১ হাজার ৮১ জন (২৮ দশমিক শূন্য শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশী বয়সী এক হাজার ৮৭৩ জন (৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ) রয়েছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্বে চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ২৫ জন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ১৫৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৯৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪০১ জন।
ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯ জনে।
এছাড়া করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৮৬১ জনে।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম