করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, কমেছে শনাক্ত
দেশে করোনাভাইরাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যুহার।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৩৪ জন। আর একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। কিন্তু এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৬৩২ জন। আর মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৭৭৬ টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ১৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় এক হাজার ১৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসেবে নতুন রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক শূন্য ৬০ শতাংশে নেমেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১৮ হাজার ৩২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন এক হাজার ৬৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও নয়জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও চারজন নারী।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ১৯২ জনে দাঁড়াল। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, রোগতত্ববিদরা করোনাভাইরাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রোগতত্ত্ববিদ বলেন, কয়েকদিন রোগী শনাক্ত হ্রাস পাওয়া মানেই করোনার প্রকোপ কমে গেছে এমনটা বলা যাবে না। করোনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নামলে করোনার ঝুঁকি কমে গেছে বলে মনে করতে হবে।
তারা বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার বাড়ছে। অধিকাংশই হাসপাতালে মারা যাচ্ছেন। মৃতদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বয়স্কদের দ্রুত পরীক্ষা ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে বলে জানান তারা।
এমইউ/এমআরআর/এমএস