মাস্ক পরায় আগ্রহ নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের
![মাস্ক পরায় আগ্রহ নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/fgg-20210410171813.jpg)
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা, রাজধানীর বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের রাইয়ান গার্মেন্টস। ভিন্ন রঙের জামাকাপড় পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানি ফরিদ উদ্দিন। দরদাম করে কেনাকাটা করছেন চারজন ক্রেতা। কিন্তু তাদের কারো মুখেই মাস্ক নেই।
মাস্ক না পরার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, মাস্ক পরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে সমস্যা হয়। তাই মাস্ক পরিনি।
এ সময় ক্রেতা হামিদুর বলেন, বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতে হয়। মুখে মাস্ক থাকলে নিঃশ্বাস নিয়ে পারি না।
বঙ্গবাজারের মতো এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২, সুন্দরবন স্কোয়ার সুপার মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ, ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর, গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারসহ সদরঘাট এলাকার মার্কেটগুলোতে একই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া মাস্ক পরা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা এমন নানা অজুহাত দেখিয়েছেন। অথচ গত সপ্তাহে সরকার লকডাউন ঘোষণার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
তবে কিছু ব্যবসায়ীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখা গেছে। ওই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন। অনেক বলেও তাদের মাস্ক পরানো যায় না। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুন্দরবন স্কোয়ার সুপার মার্কেটে ইলিকট্রনিক পণ্য কিনতে আসেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার ব্যবসায়ী রতন তালুকদার। কিন্তু তার মুখে মাস্ক নেই। এ সময় মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পকেটে মাস্ক রয়েছে। গরমের কারণে তিনি পরতে পারছেন না।
মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মার্কেট ফেডারেশনের সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, প্রতিটি মার্কেট সমিতির নেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। এমন পরিস্থিতি দেখেই হয়তো ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এমএমএ/এমএসএইচ/জিকেএস