পুরান ঢাকায় ইফতার ক্রেতাদের ভিড়, কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি
![পুরান ঢাকায় ইফতার ক্রেতাদের ভিড়, কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/puran-dhaka-2-20210416180734.jpg)
পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল মোড় থেকে মাক্কুশা মাজার পর্যন্ত নাজিমুদ্দিন রোডের দু’পাশে দোকান, ফুটপাতে টেবিল এবং ভ্যানে হরেক রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। দর-দাম করে পছন্দের ইফতার কিনছেন ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতি দেখে বুঝার উপায় নেই, দেশে এখন করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুরান ঢাকার মধ্যে নাজিমুদ্দিন রোডে দিন-রাত মানুষের চলাচল থাকে। আজ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছেন। তবে অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। ফলে যে উদ্দেশ্যে ডকডাউন দেয়া, তার সুফল মিলবে না।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা। নাজিমুদ্দিন রোডের মমিন সুইটসের সামনে ইফতারসামগ্রী কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ২০-২৫ জন ক্রেতা। তাদের চাহিদা মতো ইফতারসামগ্রী বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দোকানদার শরিফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, সাধারণ সময়ে এই ভিড় আরও তিন-চার গুণ বেশি থাকে। এখন লকডাউনের মধ্যে ইফতার কিনতে মানুষ বাসা থেকে বের হয়েছেন। তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মানতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ক্রেতারা কেউ কারও কথা শুনছেন না।
মাস্ক ছাড়া ইফতার কিনতে এসেছেন নাজিমুদ্দিন রোডের খোকন মিয়া। তিনি দাবি করেন, তার বাসার নিচেই ইফতারসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। তাই মাস্ক ছাড়াই ইফতার কিনতে এসেছেন।
পুরান ঢাকার চক সার্কুলার রোডেও ইফতারসামগ্রী কিনতে ভিড় করেছিলেন ক্রেতারা। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ক্রেতাদের চাপ নেই বললেই চলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চক সার্কুলার রোডের বাসিন্দা রতন তালুকদার বলেন, অন্যান্য বছর রমজানে চক সার্কুলার রোডে পা ফেলার জায়গা থাকত না। সে তুলনায় এবার লোকজন নেই বললেই চলে। তারপরও লকডাউনে যারা বের হয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
চকবাজার শাহী মসজিদের সামনের টেবিলে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন চুড়িহাট্টার মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, রমজানে চক সার্কুলার রোডের ইফতারসামগ্রী বিক্রি করা তাদের বংশের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার দাদা এবং বাবাও এখানে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করতেন। এখন তিনি করছেন। তবে গত বছর এবং এবার করোনায় ইফতার বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
রাস্তাঘাটের লোকজনের চাপ কমাতে মোটরসাইকেলে করে মাইকিং করেছিলেন চকবাজার থানার কনস্টেবল সোলায়মান। তিনি বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর অনেকেই ইফতার কেনার জন্য বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই মাইকিং করে তাদেরকে বাসায় যেতে বলা হচ্ছে। আর যারা ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসে আছেন, তাদেরকে তুলে দেয়া হচ্ছে।
এমএমএ/এএএইচ/এএসএম