রাতের ঢাকায় যান-জনচলাচল বেড়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু না কমলেও চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউনের) দশম দিনে রাতের ঢাকায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে।
পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাতে প্রথমে রোববার দুপুর পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে সোমবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়াও দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস চালুরও নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই হিসেবে দুপুরের পর বাস চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি।
গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান লকডাউনের প্রথম কয়েক দিন রাস্তাঘাটে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের অপরাধ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারি করে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করতে দেখা যায়। এ সময় সন্ধ্যা নামতেই রাতের ঢাকায় সুনসান নীরবতা নেমে আসতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা নামলে সড়কে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক ও রোগী বহনে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন তেমন চোখে পড়ত না। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা।
রোববার রাতে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিগত কয়েক দিনের লকডাউনে রাতের দৃশ্যের তুলনায় আজ রাতে রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা বেশি। মাঝে মধ্যে স্বল্প সংখ্যক বাসও চলাচল করতে দেখা যায়। রাত পৌনে ৮টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ট্রাফিক কনস্টেবলকে হাত উঁচিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।
এতদিন রাতের বেলা রিকশাচালকদের অধিকাংশই যাত্রীর অপেক্ষায় বসে থাকলেও যাত্রী পেতেন না। কিন্তু আজ রাতে ঢাকার সড়কে অনেক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউনের নির্দেশনা থাকলেও কার্যত লকডাউন বাস্তবায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এমইউ/এআরএ/এমএস