আবারো ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবা
ভারতের কোচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিশেষ আদালতে শুরু হচ্ছে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার। এ উপলক্ষে আগামী রোববার ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলামসহ তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল।
বাকি দুই সদস্য হলেন সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন ও কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর এ টি এম হেমায়েতুল ইসলাম।
আগামী সোমবার বিশেষ আদালতে ফেলানীর বাবা সাক্ষ্য দেবেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু করে ভারত সরকার। ওই সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফ। কিন্তু ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএসএফের অভিযুক্ত সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে বিজিবি-বিএসএফের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের আশ্বাস দেয় বিএসএফ।
এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বিএসএফের বিশেষ আদালতে পুনর্বিচার শুরু হয়। পুনর্বিচারে ২৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দিতে ভারতের উদ্দেশে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল রওয়ানা হয়। কিন্তু আদালতের বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি হওয়ায় প্রতিনিধিদলটি ফিরে আসে।
সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানী হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে সীমান্তহত্যা কমে আসবে।