অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াত জরুরি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২১

দেশে ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের শিশুর সংখ্যা ৫ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি হলেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের সুযোগ নেই। ফলে তাদের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টায় রায়েরবাজার হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াত’ শীর্ষক কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন, শিশুদের জন্য বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াত তাদের শারীরিক পরিশ্রমের চাহিদা পূরণের একটি সমাধান হতে পারে। নিয়মিত হেঁটে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের মাধ্যমে যেমন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তেমনি বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে যাওয়ার মাধ্যমে সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

ফলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। পাশাপাশি যানবাহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণও হ্রাস করা সম্ভব হবে। প্রাণ-প্রকৃতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। করোনাকালে যানবাহনে বদ্ধ অবস্থায় যাতায়াতের থেকে হাঁটাহাঁটি করলে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরে স্কুলে হেঁটে ৩০ শতাংশ যাতায়াত হয়। অভিভাবকদের পছন্দ অনুযায়ী স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর জন্য দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা দেখা যায়।

অনেক সময় সামাজিক মর্যাদার ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেকে অল্প দূরত্বেও সন্তানদের গাড়িতে আনা নেওয়া করেন। হাঁটার পরিবেশ উন্নত না হওয়ার কারণে অনেকেই গাড়ি অথবা রিকশার ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়মিত হেঁটে যাতায়াতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের নিরাপদে হাঁটার পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

রায়েরবাজার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করা অত্যন্ত জরুরি। হেঁটে যাতায়াত শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

এমইউ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।