ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মানববন্ধন করছেন গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন শুরু করেন তারা। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেন।

এই সাতদফা দাবি হলো:

১. ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে মুক্তি দিতে হবে।
২. রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় দিতে হবে।
৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-পেমেন্ট, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
৫. করোনাকালে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে।
৬. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স দিতে হবে।
৭. ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। তাই এই সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।

এদিকে, ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। গুলশান থানার মামলায় এ দম্পতির আর রিমান্ড চাওয়া না হলেও ধানমন্ডি থানার মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের প্রথম দফা তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ তাকে আবার আদালতে হাজির করা হবে। তবে এ দফায় আর রিমান্ডের আবেদন করা হবে না।

তবে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের থানায় যে মামলাটি হয়েছে, সেটাও গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে। তদন্তের প্রয়োজনে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এজন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

গুলশান থানার মামলায় রিমান্ডে থাকাকালীন ধানমন্ডি থানায় রাসেল-নাসরিন দম্পতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ মামলার বাদী মো. কামরুল ইসলাম চকদার নামে এক গ্রাহক। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির এমডি রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন।

জেএ/এমআরআর/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।