‘গানে মুজিব অলিম্পিয়াড’ নিবন্ধন শুরু ১৭ মার্চ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত গানের প্রতিযোগিতা ‘গানে মুজিব অলিম্পিয়াড’র নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সংস্কৃতি’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি ড. মকবুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৭ মার্চ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত একমাস চলবে এ নিবন্ধন কার্যক্রম। এরপর থেকে এ প্রতিযোগিতার মূল কার্যক্রম শুরু হবে। এ প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা, শ্রদ্ধা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের অন্তরে প্রোথিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাঙালির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, দেশ গঠনে তার নেতৃত্ব ও ’৭৫-এ নৃশংসভাবে তাকে হত্যার প্রতিবাদে অনেক গান রচিত হয়েছে। এসব গানে তার প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বের কথা, ঘাতকের হাতে মৃত্যুর পর জাতির শোকের কথা, সুরে ও বাণীতে অনুরণিত হয়েছে।
এগুলো গান হিসেবে মানুষের মনে যেমন দাগ কাটে তেমনি ইতিহাসের ছবিও আঁকে। মহান এ নেতার কৃতিত্ব, বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদানের কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্মরণ করা ও বহন করার জন্য এ গানের চর্চা ও প্রচার একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়টি সামনে রেখে জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গানের জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতা দুটি বয়স শ্রেণিতে হবে উল্লেখ করে মকবুল হোসেন বলেন, একটি হচ্ছে ১২-১৮ ও অন্যটি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াদের মধ্য থেকে সেরামান, উচ্চমান ও ভালোমান এ তিন পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিতরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াদের মধ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ের সেরা, উচ্চ ও ভালো মান এ তিন পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে।
এতে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীকে যা খেয়াল রাখতে হবে
সারাদেশ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রার্থীদের গান পাঠাতে হবে। নিবন্ধনের জন্য মোবাইলে গান ভিডিও রেকর্ড করে সংস্কৃতির ইনবক্সে অথবা gmolympiad@songskriti.com এ ইমেইলে পাঠাতে হবে। মোবাইলে গান রেকর্ড করার সময় গান গাওয়ার আগে নিজের নাম, জেলা, কোন গ্রুপের (ক. ১২-১৮ বছর পর্যন্ত ও খ. ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে) প্রতিযোগী, কোন গান, গীতিকার ও সুরকারের নাম উল্লেখ করতে হবে। গানের সঙ্গে নাম, ঠিকানা, বয়স, ছবি, মোবাইল নম্বর আলাদা করে পাঠাতে হবে। সংস্কৃতির ইনবক্সে বা ইমেইলে পাওয়া গান বিভাগীয় পর্যায়ে বিন্যাস করে প্রাথমিক নির্বাচন করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের বয়স প্রমাণের জন্য প্রতিযোগিতার সময় স্কুল সার্টিফিকেট/ইউপি চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট/এনআইডি দেখাতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী ৪৮ জনকে নিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। পুরস্কার বিতরণ শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গানের অনুষ্ঠান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতির সহ-সভাপতি কানিজ আকলিমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক কেয়া হায়দার, নির্বাহী সদস্য নাজমুল আহসান ও খন্দকার আবুল কালাম।
এইচএস/একেআর/এএসএম