নারীর অর্জন ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কর্মসূচির আহ্বান
করোনা মোকাবিলা করে নারীর আগের অর্জন ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
তিনি বলেছেন, নারী আন্দোলনের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জেন্ডারভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি এবং জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ে জোর দিতে হবে।
রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ) ৬৬ তম অধিবেশনের সমান্তরাল এক অনলাইন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: কোভিড-১৯-এর প্রভাব এবং উত্তরণের উপায়’ বিষয়ক অনলাইন অনুষ্ঠানে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী।
ব্র্যাক, ইউএন উইমেন, ইউনেপ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৫৫৭ জন নারীর মধ্যে ৯১ শতাংশ নারী বেশি পরিমাণে অবৈতনিক কাজ করছেন। মাত্র ১৪ শতাংশ নারী তাদের গৃহস্থালির কাজে স্বামীর সহায়তা পেয়েছেন। ৯৮ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ মানসিক, ১৯ শতাংশ শারীরিক, ৩১ শতাংশ অর্থনৈতিক এবং ২ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৬৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার কোনো আয় ছিল না।
করোনা প্রাদুর্ভাব নারীদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অবৈতনিক কাজের চাপ এবং পারিবারিক সহিংসতা বাড়ানোর মাধ্যমে সংকটের জেন্ডারভিত্তিক প্রভাব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
১৪ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সিএসডব্লিউর ৬৬তম অধিবেশন শুরু হয়েছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিবছরের মতো এবারও এ অধিবেশনে অংশ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার তানভীর মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
এমএএইচ/জেআইএম