চলছে জনশুমারি, সাড়ে ৪ লাখ তরুণের সাময়িক কর্মসংস্থান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ১৫ জুন ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে শুরু হয়েছে কাঙ্ক্ষিত ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি। সপ্তাহব্যাপী এ শুমারি চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। চলমান এ শুমারিতে সাময়িকভাবে কলেজ অথবা অনার্সপড়ুয়া প্রায় সাড়ে চার লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী তথ্য নিচ্ছেন। সাতদিনের এ কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক গণনাকারী পাবেন ১০ হাজার ৫০০ টাকা করে। এছাড়া জনশুমারিতে দেশব্যাপী কাজ করছেন ৬৪ হাজার সুপারভাইজার, যারা পাবেন ১১ হাজার টাকা করে।

এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাড়ে ৪ হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি বিবিএসবহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ জন কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গণনাকারীদের জন্য মোট ব্যয় হবে ৩৯০ কোটি এবং সুপারভাইজারদের জন্য ৭৭ কোটি টাকা। দুই খাত মিলিয়ে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৪৬৭ কোটি টাকা। তথ্য সংগ্রহের জন্য সব গণনাকারীর হাতে একটি করে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের সুরক্ষায় তাদের একটি করে ছাতাও দেওয়া হয়েছে।

তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের সব তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডাটা সেন্টারে সিস্টেম অনুযায়ী আপলোড করা আছে। এছাড়া তাদের সবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরও নেওয়া হয়েছে। শুমারি শেষ হওয়ার পর ট্যাব ও ছাতা বুঝে পাওয়ার পর এক ক্লিকেই সবার কাছে চলে যাবে সম্মানী।

এ বিষয়ে জনশুমারি প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ দিলদার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জনশুমারির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার মিলিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রায় সাড়ে চার লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা চমৎকার মেধাবী। সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। সবাই কিন্তু তরুণ, কেউ কলেজে পড়ে, কেউবা মাত্রই অনার্সে উঠলো। তাই সবাইকে বলবো, তথ্য সংগ্রহকারীদের নিজেদের সন্তান মনে করে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন এবং দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে অংশ নিন। কারণ সঠিক জনশুমারি ছাড়া কোনো পরিকল্পনারই সঠিক বাস্তবায়ন হবে না।

মূলত দেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যা কত- সেটি জানতেই রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডসহ সব স্থানে ভাসমান মানুষ গণনাসহ তাদের সম্পর্কে মৌলিক জনমিতিক, আর্থ-সামাজিক ও বাসগৃহসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এ জনশুমারি।

এর আগে বুধবার (১৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বহুল প্রতীক্ষিত ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র উদ্বোধন করেন।

এমওএস/এমপি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।