এক আঁটি কাঁঠাল পাতা ৩০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২২

গ্রামে যেসব জিনিস রাস্তায় পড়ে থাকে, বিচিত্র ঢাকা শহরে তা টাকায় কেনার পণ্য। তার বড় উদাহরণ কাঁঠাল পাতা। এই শহরে কাঁঠালের পাশাপাশি পাতাও বিক্রি হয়। তবে তা সারাবছর নয়। শুধু কোরবানির ঈদের সময়। এই সময়ে রাজধানীর অলিগলি, ফুটপাতে কাঁঠাল পাতা বিক্রি করতে দেখা যায়।

রামপুরা ব্রিজে উঠতেই বাম পাশে আফতাব নগর। প্রতি বছর বেশ বড়সড় করেই পশুর হাট জমে আফতাব নগরে। রামপুরা ব্রিজ থেকে আফতাব নগরের দিকে ঢুকতেই বাম পাশে সবার আগে চোখে পড়বে কাঁঠাল পাতা। সঙ্গে আছে খড়, ভুসিও। এক আঁটি কাঁঠাল পাতা হাতে নিতে বিক্রেতা বলে উঠলেন ৩০ টাকা। পরিমাণে হয়তো বাজারে লাউ শাক কিনতে গেলে এক আঁটিতে যে কটা পাওয়া যায়, তার চাইতে বেশি হবে না।

শুক্রবার (৮ জুলাই) আফতাব নগরের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, গরু-ছাগলের খাবার হিসেবে কাঁঠাল পাতা, খড় ও ভুসি বিক্রি করছেন খালেদা। হাট থেকে যারাই গরু কিংবা ছাগল কিনে বাসার দিকে ফিরেন, তাদের কাছেই গরু-ছাগলের খাবার হিসেবে এসব বিক্রি করেন তিনি।

jagonews24

খালেদা জানান, এক আঁটি খড়ের দাম ৬০ টাকা। তিন মুঠা খড় একসঙ্গে করে ৬০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। কাঁঠাল পাতা এক আটি ৩০ টাকা কিংবা ২৫ টাকায়ও বিক্রি করেন। তবে তার এই ব্যবসা আজকের নয়। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে আফতাব নগর হাটকে কেন্দ্র করে তিনি এ ব্যবসা করেন।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। সারাবছর বাসায়ই থাকি। কোরবানির ঈদ আসলে একটু বেচাবিক্রি করি আরকি। এই এলাকায় খড়, ভুসি বিক্রি আমিই শুরু করছি। আগে শুধু ভুসি বিক্রি করতাম। ১৫-২০ বছর আগে এ এলাকায় কোনো কিছুই আছিলো না। তখন আমার ব্যবসা আছিলো অনেক, বিক্রি হইতো ভালো। এখন মোড়ে মোড়ে লোকজন বইসা গেছে।

কাঁঠাল পাতা ও খড় কোথায় পান জানতে চাইলে খালেদা বলেন, খড়, ভুসি কিনা আনি। আর কাঁঠাল পাতা পিকআপে করে আইনা দিয়া যায়। কত হিরোইন্সি মিরোইন্সি আছে না, ওরাই কাঁঠাল পাতা কই থিকা আনে জানি না।

jagonews24

আফতাব নগর যেতে রাস্তার আশপাশে আরও বেশ কয়েক জায়গায় এমন কাঁঠাল পাতা বিক্রি করতে দেখা যায়। বাড্ডা-লিংকরোড, আদর্শ নগর এলাকায়ও দেখা যায় অনেকেই কাঁঠাল পাতা বিক্রি করছেন।

আদর্শ নগর গলির ভেতর এক লোককে দুপুরে দেখা যায় কাঁঠাল পাতা বিক্রি করছেন। তবে সন্ধ্যার পর গিয়ে আর পাতা পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু ফালাই দিছি। খড়-ভুসি থাকে। কিন্তু কাঁঠাল পাতা তো তাজা না থাকলে আর ছাগলে খায়ও না, বিক্রিও হয় না।

এমআইএস/আরএডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।