বন বিভাগের জমি দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে সংসদীয় কমিটি


প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গাজীপুরে বন বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখল করে যারা শিল্প/রিসোর্ট গড়ে তুলেছেন তাদের তালিকা চেয়েছে জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।

এর আগে ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে কমিটির ১৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ইয়াসিন আলী এবং মেরিনা রহমান অংশ নেন।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজীপুরে বন বিভাগের জমি দু’ভাবে দখল হয়েছে। একদিকে গরিব গৃহহীনরা নিরুপায় হয়ে বনবিভাগের জমি ব্যবহার করছে। অন্যদিকে, প্রভাবশালীমহল যারা অবৈধভাবে জমি দখল করে শিল্প-কারখানা ও রিসোর্ট গড়ে তুলেছে। কমিটি মানবিকতার কথা বিবেচনায় রেখে দরিদ্রদের উচ্ছেদ না করে সামাজিক বনায়নের আওতায় উক্ত জমিগুলো তাদের দিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি প্রভাবশালী দখলদারদের তালিকা করে সংসদীয় কমিটির নিকট দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়কে।

এদিকে, সংসদ সচিবালয় জানায়, ‘বৈঠকে বিগত ১৮তম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বন বিভাগ ও বনগবেষণা ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক নিয়োগ এবং রাবার বোর্ড সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কমিটি রাবার উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়ার সুপারিশ করে। এছাড়া সম্প্রতি বন বিভাগ ও বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি পরবর্তী সভায় সংসদীয় কমিটির নিকট উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এইচএস/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।