লেখার মান না বাড়লে মেলার সার্থকতা কোথায়


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এবারের গ্রন্থমেলায় রেকর্ড সংখ্যক বই অাসবে। ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই এসেছে। লেখার মানও বাড়ছে। মান না বাড়লে মেলা অায়োজনের সার্থকতা কোথায়?

বুধবার মেলা চত্বরে সার্বিক বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত অালাপকালে কথাগুলো বলছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, একুশের মেলা, কে না চায় ভালো হোক। প্রাণের মেলায় মানুষ তার সর্বোচ্চটুকু দিয়েই তার অংশদারিত্ব রাখতে চায়। এখানে লেখক, পাঠক আর প্রকাশকের ত্রিমুখী প্রাণের খেলা চলে। সবাই সবার মন কাড়তে ব্যস্ত। মানুষের এমন আবেগকে গুরুত্ব দিয়েই আমাদের মেলার আয়োজন।

এবারের মেলার স্টল বিন্যাসে বিশেষ দৃষ্টিনন্দন প্রকাশ পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রবীণ এই লেখক বলেন, দর্শনার্থীরা এবারে মেলায় এসে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। আসলে এটি তো কোনো রকমারী পণ্যের মেলা নয়। মুক্তচিন্তার মেলা, সৃষ্টির মেলা। এখানে এসে মানুষ যদি মন খুলে ঘুরতে না পারে, নিজের ভাবনার কথাগুলো প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে তো মেলা আয়োজন সফল হল না।

টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তাটি এবারের মেলায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে মনে করে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, রাস্তাটি আগেও ছিল। কিন্তু এবারের মতো নয়। এখানে কোনো দোকান বা ফেরিওয়ালাদের বসতে দেয়া হয়নি। আর এতেই মেলার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিধি বাড়ানো হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও।

এ কারণেই মেলার স্টলগুলো এবার বিশেষ দূরত্ব নিয়ে সাজানোর সুযোগ হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিগত বছরের চেয়ে ভালো বলে জানান তিনি।

তবে যে ২১টি স্টল অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে যোগ করে প্রবীণ এই লেখক বলেন, ইতোমধ্যেই তাদের শোকজ নোটিশ করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত মেলার সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান।

এএসএস/এমএইচ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।