জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের এমডিকে হাইকোর্টে তলব
চিকিৎসার নামে মৃত শিশুর মরদেহ আইসিইউতে আটকে রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ড্রশিপ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত দু`টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান ও ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। এরপর আদালত তলবাদেশসহ রুল জারি করেন।
তৌফিক ইনাম টিপু জানান, রুলে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে কেন মামলা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের দায়ে অভিযান চালিয়ে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর ঝিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালের ছয়জনকে আটক করে। একইসঙ্গে হাসপাতালটিকে তৎক্ষণাৎ সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
আদালতের নির্দেশে আটক ছয়জন হলেন, নজরুল ইসলাম, ডা. শরিফুজ্জামান, মো. কাওসার, মোছা. লিজা, মনতেশ মন্ডল ও সুমন মন্ডল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে এক বছর ৪ মাসের একটি শিশু মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ তাকে জীবিত দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এফএইচ/এমজেড/আরআইপি