করতোয়া নদীতে গ্রামীণফোন কর্মকর্তার মরদেহ


প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গ্রামীণ ফাস্ট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (গ্রামীণ ফোনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) এরিয়া ম্যানেজার মানিক হোসেনের (৩৫) মরেদেহ উদ্ধার করেছে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে উপজেলার দুবলাগাড়ি বাজারের অদূরে করতোয়া নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মানিক হোসেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌর এলাকার বেলঘড়িয়া মহল্লার মন্টু প্রামাণিকের ছেলে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি দুবলাগাড়ি বাজার থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, মানিক হোসেন মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ ফোনের ফ্লেক্সিলোড, মোবাইল ফোন কার্ড সরবরাহ করে থাকেন। শনিবার দুপুরের দিকে তিনি দুবলাগাড়ি বাজারে মোটরসাইকেল রেখে বিভিন্ন দোকানে কাজ শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে ব্যবসায়ীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে করতোয়া নদীর পাড়ে পিছনে হাত বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ তার প্যান্টের পকেট থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। তবে মানিক হোসেনের কাছে থাকা কোম্পানির ব্যাগটি পাওয়া যায়নি। ওই ব্যাগে মোবাইল কার্ড এবং নগদ টাকা মিলে ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিল বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
 
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের বগুড়ার ম্যানেজার শাহ নেওয়াজ রাহেল জানান, মানিক হোসেন তাদের বিক্রয় প্রতিনিধি। বিগত ১৩ বছর হলো তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে গ্রামীণ ফাস্ট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, মানিক হোসেনকে হাত পিছনে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- ব্যাগে থাকা টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিতেই দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণের পর হত্যা করেছে।

এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।