বিদ্যালয়ের পাশের ইটভাটা নিয়ে যা বললেন ৩০ প্রধান শিক্ষক

বিদ্যালয়ের আশপাশে ইটভাটা স্থাপন কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়। বেআইনি ও অবৈজ্ঞানিকভাবে নির্মিত এসব ইটভাটা পরিবেশের জন্য হুমকি। ইটভাটা থেকে চাঁদা নিয়ে স্কুলে অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এমন মতামত দিয়েছেন দেশের ৩০ জন প্রধান শিক্ষক।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে রোববার (২৯ জানুয়ারি) ‘জলবায়ু রক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) প্রশিক্ষণরত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০ জন প্রধান শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা এই মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক এ.কে.এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা জাদুঘরের গ্যালারিগুলো পরিদর্শন করেন।
শিক্ষকরা বলেন, শুধু ক্লাসরুমে দায়িত্ব পালন না করে পরিবেশ দূষণের বিপর্যয় সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। বিদ্যালয়ের আশপাশে ইটভাটা স্থাপন কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়। বেআইনি ও অবৈজ্ঞানিকভাবে নির্মিত ইটভাটা পরিবেশের জন্য হুমকি। ইটভাটা থেকে চাঁদা নিয়ে স্কুলে অনুষ্ঠান করা যাবে না।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ইটভাটা দুই শতাধিক, ছাড়পত্র ৬টির
সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জলবায়ু বিপর্যয় রোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন স্কুল শিক্ষকরা। এছাড়া স্কুলের ছাদে মোবাইল টাওয়ার বসানো যাবে না, এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। শিক্ষকদের নৈতিক মান উন্নত করতে হবে, শিক্ষকরা এখনো সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম