‘বঙ্গবন্ধু জাতিকে ধাপে ধাপে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করে একটি নিরস্ত্র ও নিরীহ জাতিকে ধাপে ধাপে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য জনগণকে প্রস্তুত ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে পরিচালিত হবে তার দিকনির্দেশনাও দিয়েছিলেন।
সোমবার (২০ মার্চ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তৃাতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন এবং প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের আইসিটি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। তিনি তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিকে সমন্বয় করে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। মানুষ দুই হাজারের বেশি সরকারি সেবা পাচ্ছেন। ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটি মানুষ স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেদবুনিয়াতে স্যাটেলাইটের ভূ-উপগ্রহ উপকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করতে ৫৫৫টি ‘জয় ডিজিটাল সেন্টার’সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার, প্রাথমিক স্তরে ১০ লাখ কোডার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখ প্রোগ্রামার এবং এসএসসি-এইচএসসি পাস করা ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে উঠতে তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এইচএস/এমকেআর/এমএস