৪৩ বছরেও হয়নি ৪ মুক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার
৪৩ বছর ধরে ঝুলে আছে গোপালগঞ্জের চার মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিস্ট নেতার হত্যার বিচার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিপিবি গোপালগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সেখানে বক্তারা হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
সিপিবি জেলা শাখার সভাপতি ডা. নীহার রঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিপিবির জেলা সম্পাদক কমরেড অধ্যক্ষ আবু হোসেন, অ্যাড. সরদার আহম্মদ নওশের আলী, শহীদ কমলেশ কন্যা কমরেড সুতপা বেদজ্ঞ, পংকজ কুমার পান্ডে ,মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৪৩ বছর ধরে এ চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যার মামলাটি ঝুলে আছে। হত্যাকারী হেমায়েত খুবই প্রভাবশালী। সরকারের ছত্রছায়ায় এ জঘন্য অপরাধ করেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রহীনতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মামলাটি এ পর্যন্ত হাইকোর্টে ৬ বার স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে হাইকোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর খুনী চক্র মামলাটি আবার সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত করে। সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিলে মামলাটি আবার গোপালগঞ্জ আদালতে আসবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, খুনী হেমায়েত সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। আর আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার পাচ্ছি না।
বক্তারা অবিলম্বে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনার দাবি জানান।
এর আগে সকাল ৮ টায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জ সদরের আড়পাড়া গ্রামে সিপিবি নেতা মুক্তিযোদ্ধা কমরেড অলিউর রহমান লেবুর সমাধিতে ও শহরের পৌর শ্মশানে মুক্তিযোদ্ধা কমরেড কমলেশ বেদজ্ঞ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিষনু ও মানিকের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১০ মার্চ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়ায় নির্বাচনী কাজ শেষে ফেরার পথে হেমায়েত গং প্রকাশ্য দিবালোকে লেবু, কমলেশ, বিষনু ও মানিকসহ ৪ মুক্তিযোদ্ধা প্রগতিশীল নেতাকে হত্যা করে।
হুমায়ূন কবীর/এসএস/আরআইপি