সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে দেশজুড়ে চারা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত সংস্থা ‘বনায়ন’। এবার ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

পরিবেশ রক্ষায় বনায়নের এই যাত্রার ৪৩ বছর পূর্ণ হলো ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে। বন বিভাগের দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে বনায়ন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।

আরও পড়ুন> গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা/ আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বায়ুদূষণ-শব্দদূষণে

এবার কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশজুড়ে ১৮টির বেশি নার্সারিতে চারা তৈরি করা হয়েছে।

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখতে এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক ও অংশীজনদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় ‘বনায়ন’ ১১৯টির অধিক বাগান তৈরি করেছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-১৫ অর্জনে সরাসরি অবদান রাখছে বনায়ন। এ ছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ রোপণ করে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এই উদ্যোগ।

বর্তমানে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও নোয়াখালীসহ (ভাসানচর) দেশজুড়ে ২২টিরও বেশি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে বনায়নের কার্যক্রম।

‘বনায়ন’ পাঁচবার সম্মানসূচক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। পাশাপাশি, গ্রিন লিডারশিপের জন্য ‘এন্টারপ্রাইজ এশিয়া’ থেকে ‘বনায়ন’ অর্জন করেছে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্ট্রারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং এসডিজি অন্তর্ভুক্তি শ্রেণিতে অর্জন করেছে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।

আরও পড়ুন> বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে: ডা. আয়েশা

সম্প্রতি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য সম্প্রতি এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ এ জলবায়ু ও পরিবেশবিভাগে সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বনায়ন।

সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ‘বনায়ন’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

আইএইচআর/এসএনআর/জেআইএম