গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা

আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বায়ুদূষণ-শব্দদূষণে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩

আজ (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ উপলক্ষে শনিবার (৩ জুন) ‘পরিবেশ সচেতনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাগো নিউজ।

জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুল হাসান, জাগো নিউজের ডেপুটি এডিটর ড. হারুন রশীদ, জাগো নিউজের প্ল্যানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।

গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান টেল প্লাস্টিক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই ঢাকার বাযুর মান তলানির দিকে রয়েছে। এটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মোড়কজাত পণ্যে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে অনেক বছর ধরে। প্লাস্টিক পণ্য রিসাইক্লিং করার বিষয়টিও এখন সামনে এসেছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। হাওরে মাছ ও জীববৈচিত্র্য অনেকটাই হুমকির মুখে। সেসব এলাকায় ধান চাষ করা হয়, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। শব্দদূষণের মাত্রা এখনো অনেক বেশি। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ হলেও আমরা দেখেছি হর্ন বাজানো হচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।

গোলটেবিল বৈঠকে মত দিতে গিয়ে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমরা যখন বলি পরিবেশ দূষণ, তখন সেখানে বায়ু, পানি, শব্দ, শিল্প, মাটি, বর্জ্য অব্যবস্থাপনাসহ অনেক দূষণের কথা চলে আসে। যত দিন যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ছে। দূষণের মূলে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্মকাণ্ড।

‘এখন দেশে বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। পানিদূষণে পানিবাহিত রোগে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। একইভাবে শব্দদূষণে আমরা শারীরিক, মানসিক রোগে আক্রান্ত হই। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশ দূষণ হবে, এমন মনস্তাত্ত্বিক বাধা দূর করতে হবে। উন্নয়ন কখনোই পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে না।’

উন্নয়ন চিন্তা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের পলিসিগত ধারণাতেই ত্রুটি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আগে উন্নয়ন, পরে পরিবেশ- এমন কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের একটি সংলাপ আমরা বেশ কিছুদিন ধরে শুনে আসছি। উন্নয়ন কখনোই পরিবেশকে বাদ দিয়ে হবে না। যে উন্নয়ন করলে পরিবেশের বিপর্যয় হয়, সে উন্নয়ন মডেলে আমরা যাবো না।

বাংলাদেশে পরিকল্পনা থেকে সব কিছুতে ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, বহু আগে থেকেই আবাসিক ও শিল্প কারখানার জন্য দেশে পৃথক জোন রয়েছে। কিন্তু আমরা গবেষণায় দেখেছি, ঢাকার ৮০ শতাংশ শিল্প কারখানা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। যে যার মতো, সুবিধাজনক জায়গায় শিল্পায়ন করেছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারও চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। তাই এখন অমাদের মডেল হতে হবে আগে পরিবেশ, তারপর উন্নয়ন।

ইটভাটা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিন পর এসে সরকার বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। ২০২৫ সাল প্রায় চলেই আসছে। কিন্তু সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমরা তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না। সরকারের প্রস্তুতি খুবই দুর্বল। এভাবে আগালে ২০৩০ সালেও পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে না। একইভাবে জলাশয় বা জলাধার ভরাট করা হচ্ছে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে গাছ কাটা যেন একটি সংস্কৃতি হয়ে গেছে। অথচ পার্কে গাছই থাকার কথা।

সবুজায়নে রাজশাহী শহর অনুকরণের যোগ্য বলে অনেকেই মনে করেন। এ কথা জানিয়ে এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা রাজশাহী শহরের উদাহরণ দেই। সবুজায়নের মাধ্যমে রাজশাহী শহরে বায়ু মানের উন্নতি হয়েছে। রাজশাহী তাদের পলিসিতে যেটা করেছে, তারা পরিকল্পনা করে পুরো শহরের কোথাও ফাঁকা জায়গা রাখেনি। যেখানে মাটি আছে সেখানে তারা গাছ লাগিয়েছে। সড়ক বিভাজকগুলো চওড়া করে সেখানেও বড়, মাঝারি, ছোট আকারের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছে।

‘ঢাকা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে গাছ রক্ষার আন্দোলন। সে আন্দোনের মূল ফোকাস ছিল সড়ক বিভাজকের বৃক্ষ কাটা বন্ধ করা। কিন্তু দেখেন রাজশাহী কী করেছে। তারা কিন্তু সড়ক বিভাজকে বড় গাছ থেকে শুরু করে ছোট গাছও লাগিয়েছে।

নগরে পরিবেশ রক্ষায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সরকারের অন্যতম কাজ বলে মনে করেন আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, দেশে পরিবেশ রক্ষায় বহু আগে থেকেই আইন আছে। কিন্তু জনসচেতনতায় তার পানিশমেন্ট নেই। যেটি সিঙ্গাপুরসহ বহু উন্নত রাষ্ট্র করে দেখিয়েছে। একজনকে জরিমানা করলে অন্তত ১০০ জন সচেতন হয়ে যাবে। ব্যালেন্সের মাধ্যমে সরকার পরিবেশ রক্ষা করে।

একটি আদর্শ নগরের বৈশিষ্ট্য জানিয়ে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একটি নগরের অন্তত ২৫ ভাগ সবুজ থাকাই লাগবে। ১০ থেকে ১৫ ভাগ জলাশয় বা জলাধার থাকতে হবে। আর বাকি ৪০ ভাগ হয়তো কংক্রিট থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের নগরায়ণ যদি বিশ্লেষণ করি, দেখা যাবে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই বহুতল ভবন। কিন্তু আগুন লাগলে তা নেভাতে পানি পাওয়া যায় না। কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে গ্রাউন্ড ওয়াটারের স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। এটি পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ কারণ হচ্ছে।

যারা শিল্পকারখানার মালিক, তাদের অনেকেই জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছেন জানিয়ে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক জানান, ওই শিল্প মালিকরাই সংসদে আইন তৈরি করছেন। আবার তারা নদীর জায়গা দখল করছেন। নদীর পাড়ে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা করছেন। এমন পলিটিক্যাল ইকোনমি আমাদের দেশটাকে একটা নিচের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বায়ুদূষণ-শব্দদূষণে

তিনি বলেন, নানান কারণে দেশে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি কমে গেছে। তারা জানে ভোটের জন্য জনগণের কাছে যাওয়া লাগবে না। আবার জনগণ জানে, আন্দোলন করে লাভ হবে না। কারণ আন্দোলন করে কোনো স্বীকৃতি নেই। বরং অনেক সময় যারা পরিবেশ নিয়ে কথা বলেন, তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, বাসযোগ্য পৃথিবীতে যখন পরিবেশ দূষণের কারণে বাস করা যায় না, তখন অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় স্বাস্থ্যের। যখন বায়ুদূষণ হয় তখন বাতাসের সঙ্গে ধূলিকণা আমরা শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিচ্ছি। এর ফলে অ্যাজমার রোগী অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আগে আমরা যেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ রোগী দেখতাম এখন সেটি বেড়ে ৬০০ হয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ বায়ুদূষণ।

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে: ডা. আয়েশা

‘যখন আমরা দীর্ঘদিন যাবত দূষিত বায়ু শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিচ্ছি তখন আমাদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তারপর ধীরে ধীরে ক্যানসারে রূপ নেয়। হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে পুরো শরীরে আমাদের ব্লাড সার্কুলেশনটা হয়। যখন আমরা অক্সিজেন কম পাই তখন আমাদের হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণটা বেশি হয়। হার্ট ফেইল, কিডনি বিকল- এগুলো বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। অসংক্রামক ব্যাধি হিসেবে এসব রোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।’

গোলটেবিল বৈঠকে কথা বলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাসের কালো ধোঁয়ার জন্য পরিবহন মালিকদের এককভাবে দায়ী করা হয়। এটি ঠিক নয়। এ কালো ধোঁয়ার প্রধান দায় অপরিশোধিত তেল। আমরা যানবাহনের জন্য পরিশোধিত বা মানসম্মত তেল পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়। পরে তা দেশে পরিশোধন করা হয়। আমরা এই পরিশোধনের জায়গা একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। কিন্তু যে প্রক্রিয়া বা উপায়ে তা পরিশোধন করা হয়, সে পদ্ধতিটা ভালো না। ফলে আমরা বাসের জন্য ভালো মানের তেল পাচ্ছি না। এখন পাম্প থেকে যে তেল কেনা হয়, এগুলো ব্যবহারে ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।

আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বায়ুদূষণ-শব্দদূষণে

ঢাকায় শতাধিক পরিবহন কোম্পানির ৬ হাজারের বেশি বাস চলাচল করে জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, এই কালো ধোঁয়া বন্ধে মালিক সমিতির লোকজন দিয়ে প্রায়ই রাস্তার যানবাহন পরিদর্শন করানো হয়। কোনো বাসে কালো ধোঁয়া দিলে, সঙ্গে সঙ্গে তা মালিককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এছাড়া বাসের ইঞ্জিনের এয়ার, অয়েল ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের সহযোগী টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, আগে বলা হতো স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। আমি এখন বলবো, ‘পরিবেশ এখন বাঁচার মূল’। কারণ আমাদের শরীরে যত রোগের বাসা তার সবকিছু পরিবেশের দূষন থেকে। টেল প্লাস্টিক ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। আমরা প্লাাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য কাজ করছি। আমাদের স্লোগানই হচ্ছে ‘পরিবেশের জন্য ব্যবসা’। আমরা দেখেছি, চিপসের প্যাকেট, পলিথিন জাতীয় প্লাস্টিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি দূষণ করছে। এগুলো রিসাইক্লিং করা যায় না। অথচ আমরা অনেকে মনে করি আরএফএল প্লাস্টিক তৈরি করে। তারা পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু আমি বলবো, পাচঁ কিলোমিটার এলাকা ঘুরেও একটি ভাঙা প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিল বা অন্য পণ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। আরএফএলের প্লাস্টিক পণ্য ভাঙা হলেও তার মূল্য আছে।

জাগো নিউজের ডেপুটি এডিটর ড. হারুন রশীদ বলেন, পরিবেশ দূষণের বহু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম প্লাস্টিক। এর বাইরে প্রতিনিয়ত আমরা যে নিশ্বাস নিচ্ছি, সে বায়ু দূষিত। আমরা চাইলেই হুট করে সেখান থেকে বের হতে পারবো না। আমরা একটি চক্রের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় জনসচেতনতা। যদিও সচেতনতা তৈরি করতে রাষ্ট্র নিজেই চরমভাবে উদাসীন।

গোলটেবিল বৈঠকে জাগো নিউজের প্ল্যানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম দায়ী প্লাস্টিক। যদিও প্রতিদিনই বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালতে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার আমরা চাইলেও বন্ধ করতে পারবো না। তবে উপায় একটা আছে, সেটি হলো প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা। এটি ঠিকমতো করতে পারলে তেমন সমস্যা হবে না। আগামী প্রজন্ম একটি সুন্দর পরিবেশ পাবে।

এদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘লেটস সেভ দ্য প্ল্যানেট’ নামে ব্যতিক্রমী প্রচারণা চালিয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। তাদের এ প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম

জনগণ জানে, আন্দোলন করে লাভ হবে না। কারণ আন্দোলন করে কোনো স্বীকৃতি নেই। বরং অনেক সময় যারা পরিবেশ নিয়ে কথা বলেন, তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

‘‘কালো ধোঁয়ার জন্য পরিবহন মালিকদের এককভাবে দায়ী করা হয়। এটি ঠিক নয়। কালো ধোঁয়ার প্রধান দায় অপরিশোধিত তেল। আমরা যানবাহনের জন্য পরিশোধিত বা মানসম্মত তেল পাচ্ছি না।’’

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।