পুলিশের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ সাবেক সেনাসদস্যের


প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

সুবিচারের আশায় বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারে দ্বারে আবেদন নিয়ে ঘুরছি। কারো কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছি না। মিথ্যা ডাকাতি মামলায় আসামি করা হয়েছে। থানায় এনে মারধোর করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে মায়ের চিকিৎসার জন্য ব্যাংকে রক্ষিত ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যায়। আদালতে মামলা করায় আমাকে শাসানো হচ্ছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো। আমি মিথ্যা মামলা থেকে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করা টাকা ফেরত চাই।

রোববার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও সাহায্য প্রার্থনা করেন ঝালকাঠি জেলার লেশকাঠি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য মো. বজলু হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে দেখতে শ্যামলী হাসপাতালে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত পুলিশ কনস্টেবল টি এম সহিরবের (ওই সময় উত্তরা থানার ওয়ারলেস অপারেটর) সঙ্গে তার দেখা হয়। সহিরব লিফট দেয়ার কথা বললে গাড়িতে ওঠেন তিনি। উত্তরার জসিমউদ্দিনে পৌঁছানোর পর জরুরি কাজ আছে বলে নেমে যান সহিরব। গাড়িটি মিরপুর দুই নম্বরের মডেল থানার পেছনে পৌঁছালে ১০/১৫জন লোক গাড়ি থামিয়ে মারধর শুরু করেন। এরপর মিরপুর থানার এসআই ইমরুল ফাহাদ তাকে ও গাড়ির ড্রাইভারকে ধরে থানায় নিয়ে ৩০ লাখ টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি দেন। তাকে মারধরও করা হয়।  

বজলু হোসেন আরো জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেকবই আনিয়ে জোর করে দুটি পাঁচ লাখ টাকার চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশের সোর্স সাদ্দাম ও আসিফ ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা তার মোবাইলে কল করলে থানা পুলিশের একজন আমার পরিচয়ে প্রয়োজনে টাকা তুলছি বলে তাদের জানায়। পরবর্তীতে আরো এক লাখ টাকা নিলেও ডাকাতি মামলার আসামি দেয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে তিনি আদালতে টিএম সহিরব, এসআই ইমরুল ফাহাদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সাতজনের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য হওয়ায় আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দেয়।

মো. বজলু হোসেনের অভিযোগ, তাকে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় আটক করা হলেও গ্রেফতার দেখানো হয় ৩০ এপ্রিল।

এমইউ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।