শরণখোলায় প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি
বাগেরহাটের শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান খানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাকির খান মহিউদ্দিনের ২৫-৩০ জন কর্মী রাম দা, হকস্টিক, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা, জানালায় এলোপাতাড়িভাবে ভাঙচুর চালায়।
একপর্যায়ে ভিতর থেকে দরজা খুলে দিলে কর্মীবাহিনী ঘরে ঢুকে মতি খানকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয় বলে মতিয়ার রহমান খান অভিযোগ করেন।
মতিয়ার রহমান খান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ১২টি মোটরসাইকেলযোগে ২৫-৩০ জন লোক অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে করতে তার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময়ে হামালাকারীরা রাম দা, হকস্টিক, লোহার রড় ও লাঠিসোটা দিয়ে ঘরের দরজা, জানালায় আঘাত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের চাপের মুখে মতি খান দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে ঢুকে তাকে জিম্মি করে ফেলে।
এসময় তারা মতি খানকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়। তিনি হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে ইউএনও এবং ওসিকে জানালে পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিনের সমর্থকরা এই নিয়ে তিন দফা হামলা করে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীন এবং গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেননা। নৌকার কর্মীরা তাকে মাঠে নামতেও নিষেধ করেছে।
ইতোমধ্যে তিনি নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো ফল হচ্ছেনা বলে অসহায়াত্ম প্রকাশ করেছেন বিএনপির ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী।
শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই লোকজন চলে যায়। তবে হামলার ঘটনা সঠিক নয়। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কিছু লোক সেখানে মহড়া দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ অতুল মন্ডল জানান, বিএনপি প্রার্থীর বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শওকত/ এমএএস/এবিএস