অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু


প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৬

বঙ্গবন্ধু মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জম্মদিনে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদা ইয়াসমিন বক্তৃতা দেয়ার আগে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক তরুন তপন চক্রবর্তী বঙ্গবন্ধুর সাথে তার সাক্ষাতের একটি ঘটনা তুলে ধরলে পরবর্তীতে বক্তৃতা করতে এসে সেই ঘটনার উল্লেখ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন ফরিদা ইয়াসমিন। ফরিদা ইয়াসমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তৃতা দেয়ার সময় বিএফইউজে ও ডিইউজের কক্ষে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করে।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্মান্ধ ছিলেন না। তিনি মানুষকে হিন্দু, মুসলমান নাকি খ্রিষ্টান সে পরিচয়ের চেয়ে মানুষ পরিচয়কে মূল্যায়ন করতেন। এ কারণেই তিনি শতাব্দির সেরা বাঙ্গালি নির্বাচিত হন।

বয়োজেষ্ঠ্য সাংবাদিক তরুন তপন চক্রবর্তী  বতৃক্তাকালে স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকার সময় তিনি একবার একজন নেতার বাড়িতে দাওয়াতে যান। ওই সময় বঙ্গবন্ধুও সে বাড়িতে দাওয়াতে যান। সেখানে মুরগী ও ভাতের আয়োজন ছিল। প্রচলিত ধর্মীয় রীতিনীতির বিধিনিষেধ ও ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মুসলমান পরিবারের খাওয়াতো দূরের কথা অন্য সম্প্রদায়ের হিন্দুর বাড়িতেও খেতেন না। সবাই  যখন খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধু খেয়াল করলেন তিনি খাচ্ছেন না। তাকে ডেকে পাঠিয়ে সামনে বসিয়ে একজনকে বললেন, ওকে ভাত আর মুরগীর তরকারি দাও। বঙ্গবন্ধু বলার পর তিনি আর না করতে পারেননি। কিন্তু খাওয়ার পর তিনি ভাবতে লাগলেন এই বুঝি জাত গেল।

তরুন তপন চক্রবর্তী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মরণশক্তি যে কতটা প্রখর তা মাস কয়েক পর টের পেলাম। তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি সরাসরি ডেকে জিজ্ঞেস করলেন এই তুই কি এখন মুসলমান নাকি হিন্দু।

এমইউ/এসকেডি/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।