পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন


প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৬

নির্বাচনের আগের দিন ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান লাল মিয়া।

সোমবার বিকেলে পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় পলাশের ডাঙ্গা ও গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি টানা ৩ বারের ইউপি চেয়ারম্যান লাল মিয়া বলেন, ধানের শীষের প্রতীকের পক্ষে যারা আমার কর্মী সমর্থক তাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকী ও মারধর করা হচ্ছে।

গত রোববার রাতে নৌকার সমর্থকরা আমার বাড়িসহ কর্মী-সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। আমার কর্মীদের ফোন নম্বর জোগাড় করে মোবাইলে হুমকি প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে আমার অনেক নেতাকর্মী অব্যাহত হামলা মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। একই সঙ্গে এজেন্টদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী শিবপুর ও নরসিংদী উপজেলার পাশাপাশি পলাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক বহিরাগতদের দিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলো দখলে নেয়ার নীল নকশা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা প্রচার করছে, সকাল ১০টার পর কোনো ভোট বাকি থাকবেনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। ভোট না দিলেও নৌকা প্রতিক বিজয়ী হবে। তাই তিনি সরকারের কাছে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গজারিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুজ্জামান ভূঞা বলেন, জনগণ তাকে প্রত্যাখান করেছে। একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীও পাশে নেই। তাই নিশ্চিত পরাজয় জেনে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারিজা নূর অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যে অভিযোগগুলো এসেছে তা গুরুত্বসহকারে দেখা হয়েছে।

সঞ্জিত সাহা/ এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।