নিজের বাচ্চা আইসিইউতে

দুগ্ধদানে এগিয়ে এসে অন্য নবজাতক চুরি করে নিয়ে যান নুসরাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রাজমিস্ত্রি হিরোন মিয়া ও সাহানা বেগম দম্পতির পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সিজারে জন্ম হওয়া নবজাতক মায়ের দুধ না পাওয়ায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি নুসরাত নামের আরেক নারী এগিয়ে আসেন। তার নবজাতক আইসিইউতে থাকায় হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে কৌশলে চুরি করেন।

এরপর শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় স্বামী তুষারের কাছে রেখে হাসপাতালে ফিরে আসেন ওই নারী। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে শিশু চুরির ঘটনায় জড়িত নুসরাত তার স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- নুসরাতের স্বামী নাজমুল হোসেন তুষার, শাশুড়ি নাহার বেগম ও ননদ নাদিরা ওরফে খুরশিদা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেলে চুরি হওয়া নবজাতক কামরাঙ্গীরচরে উদ্ধার

শিশু চুরির বিষয়ে ডিসি আশরাফ বলেন, তিনদিন ধরে সাহানার নবজাতককে দুগ্ধদান করে আসছিলেন। এই সময়ে তার শিশুটি আইসিইউতে ছিল। তার শিশুটির বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা না থাকায় তিনি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যান। শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় স্বামী তুষারের হাতে তুলে দেন। এরপর ফের হাসপাতালের বেডে এসে শুয়ে থাকেন। আর তুষার শিশুটিকে তাদের বাসায় নিয়ে যান।

ডিসি আরও বলেন, এ ঘটনার তথ্য পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় নুসরাত নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তাকে জিজ্ঞাবাদে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: ঢামেকে নবজাতক চুরি

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নুসরাত সিজারের রোগী। সে অসুস্থ থাকায় থানা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নুসরাত সুস্থ হলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।

হাসপাতালের কেউ জড়িত রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাতে আসামিকে গ্রেফতার করেছি। এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। আমরা তদন্ত করে দেখছি হাসপাতালের কেউ জড়িত আছেন কি না।

আরএসএম/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।